পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
১৯৮৫ ও ১৯৯৬ সালে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল জুভেন্তাস। তারপর দীর্ঘ ২৩ বছরের প্রতীক্ষার কি এবার অবসান ঘটবে রোনাল্ডোর পদস্পর্শে? মূলত, চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতার জন্যই একশো মিলিয়ন ইউরো ট্রান্সফার মানি রিয়ালকে গুণে রোনাল্ডোকে তুরিনে এনেছিল জুভেন্তাস। বুধবারের ম্যাচ খেলতে মাদ্রিদে উড়ে আসা রোনাল্ডোর কাছে একপ্রকার ‘হোম কামিং’। যখন রিয়ালে খেলতেন তখন আতলেতিকোর ট্রেনিং গ্রাউন্ডের খুব কাছেই একটি বিশাল ম্যানসনে থাকতেন রোনাল্ডো। তিনি যে পাঁচবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতেছেন প্রতিক্ষেত্রেই তাঁর দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন রোনাল্ডো। ২০০৮ সালে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে দুরন্ত হেডে চেলসির জালে বল জড়িয়ে দলকে এগিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। শেষ পর্যন্ত টাই-ব্রেকারে ৬-৫ ব্যবধানে চেলসিকে হারিয়ে খেতাব জিতেছিল ম্যান ইউ। গত মরশুমেও কোয়ার্টার ফাইনালে জুভেন্তাসের বিরুদ্ধে রিয়ালকে জেতাতে ৯৭ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করেছিলেন তিনি। ২০১৪ মরশুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতার পথে রোনাল্ডো মোট ১৭টি গোল করেছিলেন। এটাও একটা রেকর্ড। সেবার আতলেতিকো মাদ্রিদকে ফাইনালে হারিয়েছিল রিয়াল মাদ্রিদ। রোনাল্ডো খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি গোল করেছিলেন। ২০১৬ সালেও চ্যাম্পিয়ন্স লিগে তিনি আতলেতিকোর জাল কাঁপিয়েছিলেন। ২০১৭ সালে সেমি-ফাইনালে আতলেতিকোর বিরুদ্ধে হ্যাটট্রিক করেছিলেন সিআরসেভেন। ফাইনালে জুভেন্তাসের বিরুদ্ধেও দু’বার তিনি গোল পেয়েছিলেন। এই মরশুমেও সিরি ‘এ’-র ম্যাচে জুভেন্তাসের হয়ে ১৯টি গোল করেছেন তিনি। তবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে এই মরশুমে তাঁর গোল সংখ্যা মাত্র একটি। তবে আতলেতিকো মাদ্রিদের বিরুদ্ধে ৩১টি ম্যাচে রোনাল্ডো করেছেন ২২টি গোল। আর ৮টি পেনাল্টি থেকে তিনি সবকটি ফিনিশ করেছেন আতলেতিকোর বিরুদ্ধে। ২০১৪, ২০১৬ এবং ২০১৭ সালে রিয়ালের হয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে আতলেতিকোকে হারাতে বিশাল ভূমিকা নিয়েছিলেন সিআর সেভেন।
জুভেন্তাসের কোচ ম্যাসিমিলিয়ানো অ্যালেগ্রি মাদ্রিদে পা রেখে বলেছেন, ‘আমাদের দলের উচ্চাকাঙ্খা আছে। তাই আমরা কোনও প্রতিপক্ষকেই ভয় পাই না। নক-আউট পর্যায়ে প্রতিটি ম্যাচই ফাইনাল মনে করে খেলতে হবে।’ অন্যদিকে, আতলেতিকো মাদ্রিদের কোচ ডিয়োগো সিমোনে সাংবাদিক সম্মেলনে জানান, ‘আমাদের এই মাঠ ওয়ান্ডা মেট্রোপলিটানোয় হবে এবারের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনাল। তাই আমাদের মাঠে ফাইনালে খেলতে চাই। সেই জন্যই এখন থেকে প্রতিটি ম্যাচ জেতা দরকার।’ এর জবাবে ম্যাসিমিলিয়ানো অ্যালেগ্রি বলেছেন, ‘অন্তত একটা অ্যাওয়ে গোল এই মাঠ থেকে তুলে নিয়ে তুরিনে ফিরতে চাই। ঘরের মাঠ অ্যালায়েঞ্জ স্টেডিয়ামে জুভেন্তাসকে হারানো খুব সহজ হবে না।’
২০২২ সাল পর্যন্ত ডিয়োগো সিমোনের সঙ্গে চুক্তি বর্ধিত করেছে আতলেতিকো মাদ্রিদ। বুধবার গোলের জন্য তারা তাকিয়ে আঁতোয়া গ্রিজম্যানের দিকে। অন্যদিকে, জুভেন্তাসের আপফ্রন্টে রোনাল্ডো, পাওলো ডায়বালা ও মারিও মান্ডুকিচকে আটকাতে আতলেতিকো রক্ষণের কালঘাম ছুটে যাবে। যদিও জুভেন্তাসের মতোই আতলেতিকোর রক্ষণও খুবই সুদৃঢ়। জুভেন্তাসের ডিপ ডিফেন্সে নেতৃত্ব দেবেন জিওর্জিও চেলিনি ও লিওনার্দো বোনুচ্চি। মাঝমাঠে স্যামি খেদিরা, মিরালেম প্যানিচ বড় ভরসা। আতলিতেকোর রক্ষণে রোনাল্ডোর দিকে নজর রাখবেন ডিয়েগো গডিন। সব মিলিয়ে বুধবার এক রুদ্ধশ্বাস, আক্রমণাত্মক দ্বৈরথ আমরা প্রত্যক্ষ করার জন্য মুখিয়ে থাকব।
আতলেতিকো মাদ্রিদের সম্ভাব্য প্রথম একাদশ: ওবলাক, আরিয়াস, গডিন, গিমেনেজ, লুইস, কোকে, রড্রি, টমাস, সাউল, গ্রিজম্যান ও মোরাতা।
জুভেন্তাসের সম্ভাব্য প্রথম একাদশ: সেজনি, কানসেলো, বোনুচ্চি, চেলিনি, স্যান্ড্রো, পানিচ, মাতৌদি, খেদিরা, রোনাল্ডো, ডায়বালা ও মান্ডুকিচ।