বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
এদিন সাইনা ও সিন্ধুর দ্বৈরথ দেখতে গুয়াহাটির টিআরপি স্টেডিয়ামের দর্শক গ্যালারি ভর্তি ছিল। দেশের দুই সেরা প্লেয়ারকে সমর্থন করার ক্ষেত্রে অসমের ব্যাডমিন্টনপ্রেমীরা পরিষ্কার দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে যান। ফাইনালে একাধিকবার শক্তিশালী স্ম্যাশে সাইনা নিজের নিয়ন্ত্রণে ম্যাচ টেনে আনেন। সাইনার স্ট্রোকের বৈচিত্র্যের সামনে দাঁড়িয়ে সিন্ধু লড়াই করলেও তিনি শেষ পর্যন্ত এঁটে উঠতে পারেননি। সাইনার খেলার বৈশিষ্ট্যই হল, তিনি ধীরে শুরু করেন। তারপর ক্রমে ম্যাচে জাঁকিয়ে বসেন। সেদিন থেকে সিন্ধু এদিন শুরু থেকেই সমানে সমানে লড়াই করেন। প্রথম গেমের ব্রেকে সাইনা ১১-১০ পয়েন্টে এগিয়ে যান। সিন্ধুর একাধিকবার জাজমেন্টের ভুলে সাইনা ১৮-১৫ পয়েন্টে লিড নেন। তারপর দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে সিন্ধু দু’পয়েন্ট ছিনিয়ে নেন (১৭-১৮)। কিন্তু সাইনা পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলে শটের উপর নিয়ন্ত্রণ রেখে প্রথম গেম জিতে নেন।
দ্বিতীয় গেমে সিন্ধু ২-০ পয়েন্টে এগিয়ে শুরু করলেও সাইনা পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেন দীর্ঘদেহী খেলোয়াড়ের দিকে। তাও একটা সময়ে সিন্ধু ৫-৩ পয়েন্টে লিড নেন। তারপর অভিজ্ঞ সাইনা ডিসেপসিভ স্ট্রোকে ৫-৫ করেন। এরপর সাইনা খেলার নিয়ন্ত্রণ নেন। এরপর সিন্ধুর ভুল জাজমেন্ট ও আনফোর্সড এররের জন্য সাইনা ১১-৯ পয়েন্টে লিড নেন। ব্রেকের পর সাইনা আবার ১৩-৯ পয়েন্টে এগিয়ে যান। সেই এগিয়ে যাওয়ার গতি ধরে রেখে সাইনা দ্বিতীয় গেমও পকেটে পুরে নেন। সাইনার পেস ও পাওয়ার অনেক বেশি ছিল সিন্ধুর থেকে। বিশেষ করে তাঁর স্ট্রোক প্লে ও জাজমেন্টের কোনও উত্তর ছিল না সিন্ধুর কাছে।