গুরুজনের চিকিৎসায় বহু ব্যয়। ক্রোধ দমন করা উচিত। নানাভাবে অর্থ পাওয়ার সুযোগ। সহকর্মীদের সঙ্গে ঝগড়ায় ... বিশদ
নয়াদিল্লি, ১৪ ফেব্রুয়ারি: খেলার পাশাপাশি প্রয়োজন শিক্ষাগত যোগ্যতা। এটা বুঝেই ট্রেনিংয়ের সঙ্গে বোর্ডের পরীক্ষায় ভালো ফল করতে চান ভারতের নয়া ‘স্প্রিন্ট সেনসেশন’ হিমা দাস। ৪০০ মিটারে জুনিয়র বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন অসমের এই অ্যাথলিট গত এশিয়ান গেমসে জাতীয় রেকর্ড (৫০.৭৯ সেকেন্ড) গড়ে রুপো জেতেন। বিশ্ব স্তরে ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ডে প্রথম ভারতীয় মহিলা অ্যাথলিট হিসেবে সোনা জিতেছেন হিমা। এবার পরীক্ষা ও ট্রেনিং সমানতালে চালানোর জন্য হিমা অমানুষিক পরিশ্রম করছেন। অর্থাৎ পরীক্ষার ক’দিন তিনি নিজের বাড়ি নওগাঁ জেলার কান্ধুলিমারি গ্রাম থেকে গুয়াহাটি সাই হোস্টেলে ব্যাডমিন্টন শাটলের মতো ঘুরপাক খাবেন! সেই কাজ তিনি শুরু করে দিয়েছেন। দু’জায়গায় দূরত্ব প্রায় ১২০ কিমি। অবশ্য গতবছর প্রতিনিয়ত নিজের বাড়ি থেকে ওভারনাইট জার্নি করে অসম সাইয়ে ট্রেনিং করেছেন হিমা। তিনি বলেন, ‘আমি ট্রেনিং ও পরীক্ষার মধ্যে সমতা রক্ষা করার জন্য এমনভাবে সূচি তৈরি করেছি যাতে পড়াশুনার ফাঁকে সময় পেলে শুধুই ট্রেনিং করব। কারণ এবছর বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ টুর্নামেন্ট রয়েছে।’
অসম হায়ার সেকেন্ডারি এডুকেশন কাউন্সিলের অধীনে দ্বাদশ শ্রেণীর পরীক্ষা দিচ্ছেন হিমা। তিনি ট্রেনিং ও পরীক্ষার মধ্যে ভারসাম্য রাখার জন্য তাঁর ঘরে স্থায়ীভাবে না থেকেও স্থানীয় ধিং কলেজে পরীক্ষা দিচ্ছেন। হিমার পরীক্ষা শুরু হয়েছে ১২ ফেব্রুয়ারি। মার্চের মাঝামাঝি এই পরীক্ষা শেষ হবে। হিমার বাবা রঞ্জিত দাস জানান, ‘১১ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় গুয়াহাটি থেকে ট্রেনিং সেরে হিমা বাড়ি এসেছিল। পরের দিন সকালে হিমা পরীক্ষা দিয়েছে। আবার পরীক্ষা শেষ হতেই সেদিন দুপুরে সে গুয়াহাটি রওনা দেয়। হিমার দ্বিতীয় পরীক্ষা ১৬ ফেব্রুয়ারি। শুক্রবার সন্ধ্যায় হিমা বাড়ি আসবে। শনিবার পরীক্ষা দিয়ে আবার সে গুয়াহাটি যাবে।’ হিমার বাড়িতে দু’বিঘা জমি রয়েছে। তাঁর মা জুনালি গৃহকর্ত্রী। ছ’জনের পরিবারের আয়ের উৎস এই ছোট জমিই। হিমার এক বোন ও দুই ভাই রয়েছে।
উল্লেখ্য, আগামী মাস থেকে অ্যাথলেটিক্স মরশুম শুরু হচ্ছে। ১৫ থেকে ১৮ মার্চ পাতিয়ালায় শুরু হবে জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ ফেডারেশন কাপ। যা এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাই পর্ব। এশিয়ান মিট ১৪ থেকে ২১ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে। হিমার ভাই বিজয় দাস বলেন, ‘গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা দিয়ে জাতীয় মিটে নামা খুবই কঠিন কাজ। তবে হিমার পরীক্ষা শেষ হওয়ার পরই জাতীয় মিট অনুষ্ঠিত হবে। মনে হয় না, হিমার কোনও সমস্যা হবে।’ অসমের এখন বিখ্যাত ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব হিমা। গতবছর এই রাজ্যের ক্রীড়া দূত ছিলেন তিনি। গত বছর তিনি অর্জুন পুরস্কার পান।
অসম হায়ার সেকেন্ডারি এডুকেশন কাউন্সিলের অধীনে দ্বাদশ শ্রেণীর পরীক্ষা দিচ্ছেন হিমা। তিনি ট্রেনিং ও পরীক্ষার মধ্যে ভারসাম্য রাখার জন্য তাঁর ঘরে স্থায়ীভাবে না থেকেও স্থানীয় ধিং কলেজে পরীক্ষা দিচ্ছেন। হিমার পরীক্ষা শুরু হয়েছে ১২ ফেব্রুয়ারি। মার্চের মাঝামাঝি এই পরীক্ষা শেষ হবে। হিমার বাবা রঞ্জিত দাস জানান, ‘১১ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় গুয়াহাটি থেকে ট্রেনিং সেরে হিমা বাড়ি এসেছিল। পরের দিন সকালে হিমা পরীক্ষা দিয়েছে। আবার পরীক্ষা শেষ হতেই সেদিন দুপুরে সে গুয়াহাটি রওনা দেয়। হিমার দ্বিতীয় পরীক্ষা ১৬ ফেব্রুয়ারি। শুক্রবার সন্ধ্যায় হিমা বাড়ি আসবে। শনিবার পরীক্ষা দিয়ে আবার সে গুয়াহাটি যাবে।’ হিমার বাড়িতে দু’বিঘা জমি রয়েছে। তাঁর মা জুনালি গৃহকর্ত্রী। ছ’জনের পরিবারের আয়ের উৎস এই ছোট জমিই। হিমার এক বোন ও দুই ভাই রয়েছে।
উল্লেখ্য, আগামী মাস থেকে অ্যাথলেটিক্স মরশুম শুরু হচ্ছে। ১৫ থেকে ১৮ মার্চ পাতিয়ালায় শুরু হবে জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ ফেডারেশন কাপ। যা এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাই পর্ব। এশিয়ান মিট ১৪ থেকে ২১ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে। হিমার ভাই বিজয় দাস বলেন, ‘গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা দিয়ে জাতীয় মিটে নামা খুবই কঠিন কাজ। তবে হিমার পরীক্ষা শেষ হওয়ার পরই জাতীয় মিট অনুষ্ঠিত হবে। মনে হয় না, হিমার কোনও সমস্যা হবে।’ অসমের এখন বিখ্যাত ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব হিমা। গতবছর এই রাজ্যের ক্রীড়া দূত ছিলেন তিনি। গত বছর তিনি অর্জুন পুরস্কার পান।
