গুরুজনের চিকিৎসায় বহু ব্যয়। ক্রোধ দমন করা উচিত। নানাভাবে অর্থ পাওয়ার সুযোগ। সহকর্মীদের সঙ্গে ঝগড়ায় ... বিশদ
তিন সংস্থার মধ্যে ২০০৪-০৫ মরশুমে নবগঠিত পশ্চিমবঙ্গ টেবল টেনিস টিটিএফআইয়ের অনুমোদন পেয়েছিল। টিটি’র দিল্লির কর্তাদের মদতে উত্তরবঙ্গ টেবল টেনিস সংস্থাও পৃথক স্বীকৃতি পায়। ব্রাত্য হয়ে যায় ৮০ বছরের বেশিদিন ধরে চলা বিটিটিএ। পশ্চিমবঙ্গ টিটি সংস্থার সভাপতি ছিলেন লোকসভার প্রাক্তন প্রয়াত স্পিকার সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়। তিন সংস্থার মিলনের বিরোধিতা করে তিনি এবং তাঁর জামাতা অনমনীয় ভূমিকা নেন। সোমনাথবাবুর মৃত্যুর পর সংস্থার নতুন সভাপতি হন মায়াঙ্ক জালান। সচিব হন দক্ষিণ কলকাতার শর্মি সেনগুপ্ত। নতুন কমিটি দায়িত্ব নেওয়ার পর ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস ও বিওএ’র সভাপতির উদ্যোগে আলোচনা শুরু হয়। ইন্ডিয়ান ওলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন থেকে চাপ আসে টিটিএফআইয়ের উপর। এমনকী সদ্য সমাপ্ত ‘খেলো ইন্ডিয়া’তে বাংলা থেকে একটি মাত্র দল খেলেছে। গত ৫ ফেব্রুয়ারি টিটিএফআইয়ের আহূত সভায় তিনপক্ষ মিলিত হওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। বৃহস্পতিবার প্রেস ক্লাবে আয়োজিত প্রেস কনফারেন্সে পশ্চিমবঙ্গ টেবল টেনিস সংস্থার শীর্ষ কর্তাদের সামনেই বিটিটিএ সচিব সুব্রত দে জানিয়ে গেলেন,‘আগামী এপ্রিল মাসেই পশ্চিমবঙ্গ টেবল টেনিস সংস্থার সঙ্গে মিশে যাচ্ছি আমরা। নতুন সংস্থায় কাকে কী পদ দেওয়া হল তা বিবেচ্য নয়। আমরা চাই বাংলায় নথিভুক্ত টিটি খেলোয়াড়ের সংখ্যা তিন হাজারের উপর নিয়ে যেতে। সেই ক্ষেত্রে জাতীয় টিটি, জুনিয়র, সাব জুনিয়র ও ক্যাডেট বিভাগে বাংলার দুটি টিম খেলতে পারবে মহারাষ্ট্রর মতোই।’ উত্তরবঙ্গ টিটি সংস্থার তরফে সুব্রত রায় জানান,‘ খেলোয়াড়দের স্বার্থ বিঘ্নিত না হলে একত্রিত হতে কোনও অসুবিধা নেই।’ তাই দীর্ঘ ১৫ বছর পর টিটি’তে ইউনাইটেড বেঙ্গল। শর্মি দেবী জানান,‘ ডব্লুবিটিটিএ ও বিটিটিএ’র সম্মিলিতভাবে ২,৭০০ খেলোয়াড় আছে। উত্তরবঙ্গের খেলোয়াড়রা যুক্ত হলে সাড়ে তিন হাজার ছাড়িয়ে যাবে। ২০১৯-২০ মরশুমে বাংলা থেকে দুটি দল খেলবে মহারাষ্ট্রর মতোই। তাই আমরা অ্যাফিলিয়েশন ফি ১৫০ থেকে কমিয়ে ১০০ টাকাও করেছি। গত মরশুমে বিভিন্ন জাতীয় মিট থেকে আটটি সোনাসহ ২২টি পদক এসেছে। বাংলার কর্তাদের তিক্ততার মধ্যেও প্রতিভার অভাব নেই। তাই ফ্র্যাঞ্চাইজি ভিত্তিক জেলা লিগ প্রচলনও করব আমরা।’