পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
রোম, ১১ ফেব্রুয়ারি: পরপর দু’টি ম্যাচে জয়ের মুখ না দেখলেও দুশ্চিন্তার বিন্দুমাত্র ছাপ ছিল না জুভেন্তাস কোচ ম্যাসিমিলিয়ানো অ্যালেগ্রির চোখেমুখে। কারণ তিনি জানতেন, ছন্দে ফিরতে দল খুব বেশি সময় নেবে না। রবিবার সিরি-এ’র ম্যাচে সাসুওলোকে সহজে হারিয়ে কোচের আস্থার প্রতি মর্যাদা রাখলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো-মারিও মান্ডুকিচরা। ২৩ ম্যাচে ৬৩ পয়েন্ট পেয়ে লিগ তালিকার শীর্ষে নিজেদের অবস্থান আরও মজবুত করল ‘ওল্ড লেডি অব তুরিন’। উল্লেখ্য, গত ম্যাচে পারমা ৩-৩ গোলে রুখে দিয়েছিল জুভেন্তাসকে। আর তার আগে কোপা ইতালিয়ার ম্যাচে আটলান্টার কাছে ০-৩ গোলে হেরেছিল অ্যালেগ্রি-ব্রিগেড।
রবিবার ম্যাচের প্রারম্ভিক পর্বে দুই দলই একে অপরকে পরখ করে নেয়। তবে আঞ্চলিক আধিপত্য ছিল জুভেন্তাসেরই। ১৬ মিনিটে লোকাতেলির শট রুখে দেন জুভেন্তাস গোলরক্ষক সেজনি। এর মিনিট সাতেক পরেই কাঙ্ক্ষিত লিড নেয় অ্যালেগ্রির দল। রোনাল্ডোর জোরালো শট আংশিক প্রতিহত করেন বিপক্ষ দুর্গপ্রহরী। ফিরতি বল গোলে ঠেলে দিতে ভুল হয়নি অরক্ষিত স্যামি খেদিরার (১-০)। প্রথমার্ধের সংযোজিত সময়ে বার্নাডেসচির ক্রস থেকে নেওয়া খেদিরার হেড অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।
বিরতির পরে জুভেন্তাসের আক্রমণের চাপ ক্রমশ বাড়ে। এই পর্বে মান্ডুকিচ দু’টি সুযোগ না হারালে ব্যবধান আরও বাড়তে পারত। দুই প্রান্ত ব্যবহার করে বিপক্ষ ডিফেন্ডারদের ব্যস্ত রাখে জুভেন্তাস। তাদের দ্বিতীয় গোল ৭০ মিনিটে। বাঁ দিক থেকে নেওয়া পানিচের কর্নার ভেসে আসে সাসুওলো বক্সে। নিখুঁত স্পটজাম্পে বিপক্ষ গোলরক্ষকের চ্যালেঞ্জ এড়িয়ে নেওয়া রোনাল্ডোর দুরন্ত হেড জালে আশ্রয় নেয় (২-০)। ম্যাচের শেষ পর্বে দলের তৃতীয় গোলের নেপথ্যেও রয়েছেন পর্তুগিজ মহাতারকাটি। তাঁর পাস থেকেই বাঁ পায়ের কোনাকুনি শটে বিপক্ষ কফিনে শেষ পেরেকটি পোঁতেন এমরে ক্যান (৩-০)। ম্যাচের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে জুভেন্তাসের কোচ ম্যাসিমিলিয়ানো অ্যালেগ্রি বলেন, ‘ইচ্ছে করেই পাওলো ডায়বালাকে প্রথম একাদশে রাখিনি। ও আর রোনাল্ডো একসঙ্গে খেললে আপফ্রন্ট অবশ্যই শক্তিশালী হত। কিন্তু সাসুওলোর মাঝমাঠ শক্তিশালী বলেই অন্যভাবে দল সাজিয়েছিলাম। রিজার্ভ বেঞ্চে বসতে কারও ভালো লাগে না। কিন্তু দলের স্বার্থ তো সবার আগে দেখতে হবে কোচকে।’