নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: শঙ্করলাল চক্রবর্তীর জমানায় সেটপিস থেকে গোল খাওয়ার ব্যাপারটি অভ্যাসে পরিণত করেছিল মোহন বাগান। গত দুটি ডার্বিতে চারটি গোলের মধ্যে দু’টি গোল সেট পিস কিংবা তার ফলো আপ মুভমেন্টে খেয়েছিল মোহন বাগান। আগামী রবিবার যাতে মোহন বাগানকে সেই ভাবে গোল খেতে না হয় সেই জন্য মঙ্গলবার বিশেষ অনুশীলন করল কিংসলেরা। এই অনুশীলন হয় কার্যত ‘ইন ক্যামেরায়।’প্র্যাকটিসের এই পর্ব শুরুর মুখে খালিদ জামিল এগিয়ে এসে অলোকচিত্রী ও টিভি ক্যামেরাম্যানদের ছবি না তোলার জন্য হাতজোড় করে অনুরোধ করেন। বিশেষ সেশনে কী করালেন খালিদ জামিল? প্র্যাকটিসের এই সেশনের জন্য তিনি শিলটন পাল, অরিজিৎ বাগুই, গুরজিন্দর সিং, কিংসলে, কিমকিমা, অভিষেক আম্বেকর, ইউটা,ডারেনদের ডেকে নেন। এই ডিফেন্ডিং সেটপিস প্র্যাকটিসের সময়ে দু’প্রান্ত থেকে সেন্টার তোলার দায়িত্বে ছিলেন এই মুহূর্তে দলে অনিয়মিত অবিনাশ রুইদাস ও পিন্টু মাহাতো। প্রায় ২০ মিনিট এই ডিফেন্ডিং সেটপিস অনুশীলন হয়। উল্লেখ্য, শঙ্করলালের জমানায় মাঠে ডিফেন্ডিং সেটপিস প্র্যাকটিসই হত না। আলেজান্দ্রোর আমলে সেটপিস থেকে গোল তুলে আনতে ইস্ট বেঙ্গল বেশ সফল। দেখা যাক, রবিবার মোহন বাগান এই বিশেষ অনুশীলনের ফায়দা পায় কিনা? কারণ লালরিনডিকা, বোরহা, লালডানমাপুইয়া এবং জবি জাস্টিনরা সেটপিসের সময়ে বেশ বিপজ্জনক। লালরিনডিকার কর্নার বা ফ্রি-কিক বোরহা বক্সে হেডে নামিয়ে দিচ্ছেন। জবি বা লালডানপুইয়া যা থেকে গোল তুলে আনছেন।
বড় মাঠে কম্বিনেশন প্র্যাকটিসও হল মঙ্গলবার। গুরজিন্দর সিংকে দুই প্রান্তিক ব্যাকে দেখে নিলেন খালিদ। মাঝমাঠে ডিফেন্সিভ ব্লকার হিসাবে ডারেন ও মেহতাব হোসেনকে পালা করে খেলানো হয় ইউটার সঙ্গে। তবে মিশরের মিডিও ওমর আল হুসেনি মূল দলের সঙ্গে অনুশীলন করেননি। তাঁর চোট সেরে গেলেও খালিদ ওয়ার্কলোড দিতে চাইছেন না। মোহন বাগান এখনও পর্যন্ত ১৩ ম্যাচে ১৩ গোল খেয়েছে। শেষ দুটি ম্যাচে গোল খায়নি। ইস্ট বেঙ্গল আবার ১২ ম্যাচে ১৫ গোল খেয়েছে। ইস্ট বেঙ্গল এখনও প্রবলভাবে খেতাবি দৌড়ে থাকলেও দুই ডিপ ডিফেন্ডারের মন্থরতার জন্য নিয়মিত গোল খাচ্ছে। রবিবারের ডার্বিতে এই জায়গাটিই ধরতে চাইছেন খালিদ। মঙ্গলবার কম্বিনেশন প্র্যাকটিসের সময়ে মিডল করিডর দিয়ে আক্রমণে যেতে তিনি ডিপান্ডা ডিকা, হেনরিকে নির্দেশ দিয়েছেন । কখনও সনিকে বাঁ প্রান্ত থেকে ভিতরে ঢুকে আসার জন্য চিৎকার করেছেন। উইং প্লে’তে জোর দিতে গিয়ে বোরহা ও জনি অ্যাকোস্টার গতি মন্থরতার সুযোগ গত ১৬ ডিসেম্বর নিতে পারেনি মোহন বাগান। গুরজিন্দর সিংকে রাইট ব্যাকে খেলানোর সময়ে তাঁকে বেশি উঠতে নিষেধ করছিলেন খালিদ। মঙ্গলবার ছিল ইউটার জন্মদিন। মাঠের মাঝে কেক কেটে সহ খেলোয়াড়রা ইউটার জন্মদিন পালন করেন। ছিলেন কোচও।