দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয় ও ব্যবসা থেকে অর্থাগম যোগ। প্রেমের প্রস্তাব পেতে পারেন। পুজো পাঠে মন। ... বিশদ
ইমেজ রাইটস থেকে অর্জিত অর্থের সঠিক আয়কর দেননি রোনাল্ডো। ২০১৭ সালের জুন মাসে তাঁর বিরুদ্ধে প্রথম এই ব্যাপারে মামলা রুজু করা হয়। রিয়াল মাদ্রিদের প্রাক্তনী বরাবর বলে এসেছেন, আয়কর ফাঁকি দেওয়ার বিন্দুমাত্র উদ্দেশ্য নেই আমার। পেশাদার ফুটবলারের ভূমিকা পালন করায় সারাক্ষণ ব্যস্ত থাকতে হয় আমায়। তাই কর সংক্রান্ত যাবতীয় লেনদেন মাথায় রাখা সম্ভব নয়।’ এদিন আদালত তাঁকে আর্থিক জরিমানার পাশাপাশি ২৩ মাসের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করে। কিন্তু অহিংস অপরাধীদের জন্য দু’বছরের কম কারাদণ্ড হলে স্পেনের আইন অনুযায়ী তা ভোগ করতে হয় না। উল্লেখ্য, রোনাল্ডোর এটি প্রথম অপরাধ।
রোনাল্ডোর বিরোধী পক্ষের আইনজীবীরা বলেন, ‘আইসল্যান্ড ও আয়ারল্যান্ডের মতো দেশের বিভিন্ন কোম্পানিতে অর্থ রেখে স্পেনের আয়কর ফাঁকি দিয়েছেন সিআরসেভেন। যা ওর মতো ব্যক্তিত্বের কাছ থেকে আশা করা যায় না। রোনাল্ডোর মতো রোল মডেল এই কাজ করলে তার প্রভাব পড়তে পারে সমাজে।’ এর প্রত্যুত্তরে পর্তুগিজ ফুটবলারটির আইনজীবীদের বক্তব্য, ‘স্পেনের আয়কর দেওয়ার ব্যাপারটি যথেষ্ট জটিল। তা আদৌ স্বচ্ছ নয়। তাই রোনাল্ডো আজ এই সমস্যায় পড়েছেন।’ উল্লেখ্য, বিশ্ব ফুটবলে রোনাল্ডোর চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী লিও মেসিও একই পথের পথিক। ২০১৬ সালে আয়কর ফাঁকি দেওয়ার জন্য তাঁকে দু’মিলিয়ন ইউরো জরিমানা দিতে হয়েছিল। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, স্পেনে আয়কর সমস্যায় পড়ার জন্যই রিয়াল মাদ্রিদ ছেড়েছেন রোনাল্ডো। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে জরিমানা দিলে মাদ্রিদের মামলা থেকে মুক্ত হবেন রোনাল্ডো। তবে এক প্রাক্তন আমেরিকান মডেলকে ধর্ষণ করার জন্য লাস ভেগাসে তাঁর বিরুদ্ধে চলা মামলা এখনও চলছে। তবে রোনাল্ডো বলেছেন, তিনি এই ব্যাপারে সম্পূর্ণ নির্দোষ। পরিস্থিতি এলে নিজেকে রক্ষা করার ব্যাপারে আশাবাদী সিআরসেভেন।