পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
চতুর্থ বাছাই ওসাকা প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে হারালেন লাটভিয়ার আনাসতাসিয়া সেভাসতোভাকে ৪-৬, ৬-৩,৬-৪ সেটে। ২১ বছর বয়সী নাওমি ওসাকা শেষ আটে খেলবেন ইউক্রেনের ভিটোলিনার বিরুদ্ধে। ভিটোলিনা ৬-২, ১-৬, ৬-১ সেটে হারান আমেরিকান ম্যাডিসন কেসকে। সেরেনা উইলিয়ামসকে সেমি-ফাইনালে উঠতে হলে হারাতে হবে সপ্তম বাছাই ক্যারোলিনা প্লিসকোভাকে। চেক প্রজাতন্ত্রের এই খেলোয়াড় প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে ৬-৩, ৬-১ সেটে হারালেন স্পেনের ১৮তম বাছাই গারবাইন মুগুরুজাকে।
যা পরিস্থিতি, তাতে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের মহিলা সিঙ্গলসের কোয়ার্টার ফাইনালে মঙ্গলবার রাশিয়ার পাভলিউচেঙ্কোভার সামনে আমেরিকার কলিন্স। চেক প্রজাতন্ত্রের পেত্রা ভিটোভা খেলবেন অস্ট্রেলিয়ার অ্যাশলে বার্টির বিরুদ্ধে। বুধবার বাকি দুটি কোয়ার্টার ফাইনালে মুখোমুখি হবেন সেরেনা উইলিয়ামস ও ক্যারোলিনা প্লিসকোভা এবং নাওমি ওসাকা ও ইলিনা ভিটোলিনা। কোয়ার্টার ফাইনালে লাইন আপে সবচেয়ে অভিজ্ঞ সেরেনাই। ৩৭ বছর বয়সী সেরেনা ২৪ তম গ্র্যান্ডস্ল্যাম জয়ের ‘ম্যাজিক ফিগার’এর দিকে ক্রমশই এগচ্ছেন। গত বছর ফ্লাশিং মিডোয় সেরেনাকে ছিটকে দিয়েছিলেন ওসাকা। সেরেনা ২০১৭ সালে শেষ গ্র্যান্ডস্ল্যাম হিসেবে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন।
বিশ্বের একনম্বর হালেপকে হারানোর নেপথ্যে সেরেনা রবিবার স্টেফানোস সিটসিপাসকে দেখে উজ্জীবিত হয়েছেন। প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে স্টেফানোস হারিয়ে দেন ফেডেরারকে। সেই প্রসঙ্গে সেরেনা বলেন, ‘হালেপ খুব ভালো খেলেছে। প্রথম সেটে একপেশে হারের পর দ্বিতীয় গেমে হালেপ দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায়। কিন্তু আমার নিজের খেলার প্রতি দারুণ আস্থা ছিল। সবচেয়ে বড় কথা, সিটসিপাসকে দেখে আমি উজ্জীবিত। ও যদি রজারকে হারাতে পারে, তাহলে আমি কেন বিশ্বের একনম্বরকে হারাতে পারব না?’
সেরেনা এবার অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে ন’টি গেমে হেরেছেন। সিমোনা হালেপকে হারিয়ে দেওয়ার পর সেরেনাকে সমীহ করতে শুরু করেছেন তাঁর প্রতিপক্ষরা। এই হালেপ গতবারের চ্যাম্পিয়ন ক্যারোলাইন ওজনিয়াকি ও দ্বিতীয় বাছাই অ্যাঞ্জেলিক কেরবারকে হারিয়ে প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে আসেন। সন্তান জন্ম দেওয়ার পর কোর্টে ফিরে এই প্রথমবার বিশ্বের একনম্বর খেলোয়াড়ের মুখোমুখি হলেন আমেরিকান তারকা। কোয়ার্টার ফাইনালে প্লিসকোভাকে একেবারেই সমীহ করছেন না ২৩টি গ্র্যান্ডস্ল্যাম বিজয়ী বিশ্ব মহিলা টেনিসের ‘সুপার পাওয়ার’।
সপ্তম বাছাই প্লিসকোভা অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের প্রস্তুতি টুর্নামেন্ট ব্রিসবেন ইন্টারন্যাশনালে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন। তিনি একবারই গ্র্যান্ডস্ল্যামের ফাইনাল খেলেছেন। ২০১৬ সালের ইউ এস ওপেনে। দেখা যাক, ৫ফুট ৯ ইঞ্চি উচ্চতার সেরেনার সামনে কতটা প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারেন ৬ ফু.ট ১ ইঞ্চি উচ্চতার প্লিসকোভা।