কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
দীর্ঘ ৭১ বছরের প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে এই প্রথম অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে অজিদের হারিয়ে টেস্ট সিরিজের দখল করেছে ভারত। সাফল্যের সেই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে অজিদের ডেরায় প্রথমবার দ্বিপাক্ষিক ওয়ান ডে সিরিজও জিতেছেন কোহলিরা। ডন ব্র্যাডম্যানের দেশে টিম ইন্ডিয়ার ‘গোল্ডেন ডাবল’ মুগ্ধ করেছে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ৫২টি টেস্ট এবং ১৬৪টি একদিনের ম্যাচ খেলা জোন্সকে। কোহলিদের দুরন্ত লড়াইয়ের তারিফ করতে গিয়ে প্রাক্তন অজি ব্যাটসম্যানটি বলেন, ‘আমার মতে গোটা সফরে অনবদ্য ক্রিকেট উপহার দিয়েছে ভারতীয় দল। একমাত্র পারথ টেস্ট বাদ দিলে ওদের পারফরম্যান্স যে কাউকে মুগ্ধ করবে। সবচেয়ে বড় কথা হল, বিরাট কোহলির নেতৃত্বে দলটা সাফল্যের জন্য সারাক্ষণ টগবগ করে ফুটছে। ব্যাটিংয়ের সঙ্গে বোলিংয়ের গভীরতাও অসামান্য। সব বিভাগেই অস্ট্রেলিয়াকে টেক্কা দিয়ে ওরা একই সফরে দুটি ঐতিহাসিক সাফল্য সুনিশ্চিত করেছে। ওদের এমন ধারাবাহিক পাফরম্যান্স দেখে বারবার আমার ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের আটের দশকের দাপটের কথাই মনে পড়েছে।’ উল্লেখ্য, ক্লাইভ লয়েড, ভিভ রিচার্ডস, রিচি রিচার্ডসন, জোয়েল গার্নার, ম্যালকম মার্শাল, ভ্যানবার্ন হোল্ডারের মতো কিংবদন্তিদের ছোঁয়ায় ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটের স্বর্ণযুগের সাক্ষী থেকেছে ক্রিকেট বিশ্ব। কোহলির ভারতও একই ভাবে এখন অন্য দলগুলিকে ভয় ধরাতে সক্ষম বলেই মন্তব্য করেছেন জোন্স।
সামনেই ওয়ান ডে বিশ্বকাপ। তার আগে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে বেনজির সাফল্য কোহলিদের আত্মবিশ্বাস দ্বিগুণ বাড়িয়ে দেবে বলে মনে করছেন ডিন জোন্স। তাঁর মতে, ‘বিশ্বকাপ প্রস্তুতির প্রথম ধাপটা দারুণ কাজে লাগিয়েছে ভারত। অস্ট্রেলিয়া সফরের সাফল্যে উদ্বুদ্ধ হয়ে এবার নিউজিল্যান্ডের মাটিতেও ওরা নিজেদের সেরাটা উজাড় করে দিতে ঝাঁপাবে। কিউয়িদের বিরুদ্ধেও ওরা ঝলমলে ক্রিকেট উপহার দেবে বলেই আমার বিশ্বাস।’