কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
রবিবার রাতে বিএইচএ সচিব বাবুন ব্যানার্জির দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি জানান, ‘ঘটনাটি রবিবার বিকেলে আমি জানতে পেরেছি। অত্যন্ত নিন্দনীয় ঘটনা। খোঁজ নিয়ে দেখব। যদি কোচ এমন শাস্তির নিদান দেন তবে আগামী দিনে তাঁকে আর কোনও দিন বাংলা দলের দায়িত্ব দেওয়া হবে না।’
ম্যানেজার আলাউদ্দিন বলেন, ‘আমি কোনও খেলোয়াড়কে এমন নির্দেশ দিইনি। কোচ তো খেলোয়াড়দের কত কথাই বলেন। ওরা সব শোনে নাকি! কোচদের কথা শুনলে ওরা তো আরও ভালো খেলত। গ্রুপ লিগে গুজরাত ও অন্ধ্রপ্রদেশ ম্যাচে ওরা সত্যিই ভালো খেলেছে। চারজনের জ্বর হওয়ায় আমরা কোয়ার্টার-ফাইনালে সেইভাবে খেলতে পারিনি।’ বাকিদের মতো এন্টালির গৌতম শর্মা মাথা ন্যাড়া করেননি। তিনি কোচের সিদ্ধান্তর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছেন সহ-খেলোয়াড় এন পন্ডিতকে নিয়ে। দুই খেলোয়াড়ের বাড়ি থেকেও আপত্তি জানানো হয়। গৌতম শর্মা বলেন, ‘ম্যানেজার আলাউদ্দিন আমাদের সরাসরি কিছু বলেননি। কোচ পঙ্কজ আনন্দই এমন নিদান দেন। রীতিমতো হুমকি দেওয়া হয় আমাদের।’ আলাউদ্দিনকে ম্যানেজার করে পাঠান বিএইচ’র আরেক শীর্ষ কর্তা ইস্তিয়াক আমেদ। সদ্য সমাপ্ত বেটন কাপকে সাফল্যমণ্ডিত করতে দু’জনেই অনেক পরিশ্রম করেন। কিন্তু কোচ পঙ্কজ আনন্দের কুকীর্তিতে তারা এখন কোণঠাসা। বর্তমানে বিএইচ’র অবস্থা বেশ করুণ। এই কমিটির মেয়াদ শেষ হয়েছে দেড় বছর। ক’দিন আগে বিএইচএ’র দপ্তরে বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠী তালা লাগিয়ে দেয়। তারপর এই মুণ্ডিত মস্তক পর্ব ঐতিহ্যশালী সংস্থাটিকে আরও বিতর্কে ঠেলে দিল। অভিযুক্ত কোচ পঙ্কজ আনন্দ বলেন, ‘আমি বিরতিতে ছেলেদের বকাবকি করেছিলাম দ্বিতীয়ার্ধে ভালো খেলার জন্য। কিন্তু ব্যর্থতার জন্য ন্যাড়া হতে বলনিনি। তা হলে জব্বলপুরেই ওদের ন্যাড়া করে কলকাতায় আনতাম।’ কিন্তু খেলোয়াড়রা উড়িয়ে দিচ্ছেন কোচের এই বক্তব্য।