কর্মক্ষেত্রে অশান্তির সম্ভাবনা। মাতৃস্থানীয় কার শরীর-স্বাস্থ্যের অবনতি। প্রেমে সফলতা। বাহন ক্রয়-বিক্রয়ের যোগ। সন্তানের বিদ্যাশিক্ষায় উন্নতি।প্রতিকার: ... বিশদ
প্রথম ম্যাচে ৫১ রান করেও দলকে জেতাতে না পারায় সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল ‘এম এস ডি’কে। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে তিনি সমালোচকদের মুখে ঝামা ঘষে দিয়ে দলকে জিতিয়েছিলেন ৫৫ রানে অপরাজিত থেকে। আর শুক্রবার, ফের ব্যাট হাতে জ্বলে উঠলেন ধোনি। ১১৪ বলে ৮৭ রানের অপরাজিত ইনিংস খেললেন তিনি। চতুর্থ উইকেটে কেদার যাদবকে (অপরাজিত ৬১) নিয়ে ১২১ রান যোগ করে ভারতকে দুর্দান্ত জয় উপহার দেন সেই মাহি। যার ফলে তৃতীয় ম্যাচে ফিনচ বাহিনীকে ৭ উইকেটে দুরমুশ করে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে প্রথমবার দ্বিপাক্ষিক ওয়ান ডে সিরিজ জিতে ইতিহাসের পাতায় জায়গা করে নিল কোহলি বাহিনী।
ভারতীয় ক্রিকেটের ইতিহাসে এবারের অস্ট্রেলিয়া সফর স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। টি-২০ সিরিজ অল্পের জন্য জিততে ব্যর্থ হয়েছিলেন কোহলিরা। তবে সেই আক্ষেপ সুদে-আসলে মিটিয়ে নিয়েছিলেন ৭১ বছর পর অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টেস্ট সিরিজ জিতে। আর একদিনের সিরিজ পকেটে পুরে ফেলার পর কোহলি বাহিনী অপরাজিত তকমা নিয়ে দেশে ফিরছেন।
মাস তিনেক আগেও ধোনির ক্রিকেট ভাগ্য পেন্ডুলামের মতো দুলছিল। ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে একের পর এক ম্যাচে ব্যর্থ হওয়ার পর তিনি দল থেকে বাদ পড়েছিলেন। কথায় আছে, পুরানো চাল ভাতে বাড়ে। অস্ট্রেলিয়ায় কামব্যাক মঞ্চকে দারুণভাবে কাজে লাগালেন প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক। সেই সঙ্গে তিনি বিশ্বকাপ দলে জায়গা প্রায় পাকা করে ফেললেন।
ধোনির সমালোচকদের একহাত নিয়ে কোহলি বলেছেন, ‘মাঠের বাইরে অনেকে অনেক কিছু বলে। ধোনিকেও সমালোচনা সহ্য করতে হয়েছে। তবে আমি জোর গলায় বলতে পারি, ভারতীয় দলে ধোনির মতো দায়বদ্ধতা আর কোনও ক্রিকেটারের নেই। ভারতীয় ক্রিকেটে ওর অবদান কখনও ভোলার নয়। তাই সব ব্যাপারেই ওর দিকে আঙুল তোলা ঠিক নয়। ধোনির আরও সম্মান প্রাপ্য।’
ধোনির ফর্ম নিয়ে কোহলি বলেন, ‘দীর্ঘদিন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের বাইরে থেকে এরকম পারফর্ম করা মোটেও সহজ ব্যাপার নয়। ধোনির রান পাওয়াটা দলের পক্ষে যেমন ভালো, তেমনি ওকেও অনেক চাপমুক্ত করবে। আত্মবিশ্বাস বাড়াবে। দলে ধোনির মতো ক্রিকেটারের কতটা প্রয়োজন সেটা আমরা প্রতি পদক্ষেপে অনুভব করি। সমালোচকদের মাথায় রাখা দরকার, ধোনি আমাদের কত ট্রফি উপহার দিয়েছে। ও সবচেয়ে বুদ্ধিমান ক্রিকেটার। জানে, কোন সময় কী করতে হয়।’
ধোনির ব্যাটিং অর্ডার কী হওয়া উচিত, তা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। রহিত শর্মা ক’দিন আগেই বলেছিলেন, ধোনির চার নম্বরে ব্যাট করা উচিত। তার উলটো মত পোষণ করে কোহলি বলেছেন, ‘ধোনির জন্য ব্যাটিং অর্ডারে পাঁচ নম্বর জায়গা উপযুক্ত।’ উল্লেখ্য, ধোনি কিন্তু তৃতীয় ম্যাচে চার নম্বরে নেমে ৮৭ রানে অপরাজিত থেকে ভারতকে জিতিয়েছেন।