বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
(ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো)
জেড্ডা, ১৭ জানুয়ারি: এরকম ম্যাচ উইনিং পারফরম্যান্সের জন্যই তো ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোকে তুরিনে নিয়ে আসা হয়েছে। বক্তার নাম ম্যাসিমিলিয়ানো অ্যালেগ্রি। পেশায় জুভেন্তাসের কোচ। বুধবার জেড্ডার কিং আবদুল্লা স্পোর্টস সিটিতে এসি মিলানকে হারিয়ে ইতালিয়ান সুপার কাপ জেতার পর সিআরসেভেনকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিলেন ‘ওল্ড লেডি অব তুরিন’-এর কোচ। সাংবাদিক সম্মেলনে এসে তাঁর মন্তব্য, ‘গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে গোল করা অভ্যাসে পরিণত করেছে ও। আমরা এখন অনেকের পাশেই গ্রেট শব্দ ব্যবহার করি। তবে আমার মনে হয়, বাকিরা গ্রেট হলে রোনাল্ডো গ্রেটেস্ট। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচের আগে এদিন দলের কম্বিনেশন পরখ করে নিতে চেয়েছিলাম।’
জুভেন্তাসের জার্সিতে প্রথম ট্রফি জয়ের স্বাদ পেয়ে রোনাল্ডোর প্রতিক্রিয়া, ‘প্রথমার্ধে আমরা গোল পাইনি। বিরতির পরে এসি মিলান গোলের জন্য ঝাঁপায়। সেই ঝাপটা সামলে আমার গোল। ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে লক্ষ্যভেদ করতে পেরে ভালো লাগছে। জুভেন্তাসকে আরও ট্রফি জেতানোই আমার লক্ষ্য।’
প্রতিপক্ষ এসি মিলানকে হারিয়ে অষ্টমবার সুপারকোপা ইতালিয়ানা জিতল জুভেন্তাস। সংখ্যার বিচারে দ্বিতীয় স্থানে এসি মিলান। তারা সাতবার এই প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। তাদের কোচ জেনারো গাত্তুসো অবশ্য বুধবারের হার কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না। মিলান বিমানবন্দরে ফেরার পর এক সাংবাদিকের মুঠোফোন ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন তিনি। দলের প্রধান স্ট্রাইকার গঞ্জালো ইগুয়েনকে এই ম্যাচে মাত্র কুড়ি মিনিট ব্যবহার করেন কোচ গাত্তুসো। কারণ, তিনি ধরেই নিয়েছেন যে চেলসির পথে পা বাড়ানো আর্জেন্তাইন স্ট্রাইকারটি মিলানের জার্সিতে সেরা পারফরম্যান্স মেলে ধরবেন না।
ম্যাচের প্রথমার্ধে কোনও দলই গোল পায়নি। তবে আঞ্চলিক আধিপত্য বেশি ছিল জুভেন্তাসেরই। ১৭ মিনিটে ডগলাস কস্তার প্রয়াস অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। এরপর ব্লেইস মাতৌদির গোল অফ-সাইডের কারণে বাতিল হয়। এসি মিলানের হাকান কালাহানোগ্লুর শট দ্বিতীয় পোস্টের সামান্য বাইরে দিয়ে বেরিয়ে যায়। দ্বিতীয়ার্ধের প্রারম্ভিক পর্বে বেশ কয়েকটি আক্রমণ শানায় গাত্তুসো-ব্রিগেড। ৫৯ মিনিটে কালাহানোগ্লুর শট জুভেন্তাস গোলরক্ষক সেজনিকে হার মানিয়ে পোস্টে আছড়ে পড়ে। পরের মিনিটেই ম্যাচের একমাত্র গোল রোনাল্ডোর। পানিচের বুদ্ধিদীপ্ত চিপ থেকে হেডে লক্ষ্যভেদ পর্তুগিজ মহাতারকাটির (১-০)। এসি মিলানের ডিফেন্ডাররা অফ-সাইডের দাবি জানালেও তাতে রেফারি কিংবা সহকারী রেফারি, কেউই কর্ণপাত করেননি। ৭৩ মিনিটে এমরে ক্যানকে বিপজ্জনক ফাউল করায় লাল কার্ড দেখতে হয় এসি মিলানের কেসিকে। ফলে ম্যাচের বাকি সময় দশজনে খেলে গাত্তুসোর দল। সংযোজিত সময়ে রোনাল্ডোর শট মিলান গোলরক্ষক ডোনারুমা না বাঁচালে জুভেন্তাসের পক্ষে ব্যবধান বাড়তে পারত।