বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
বাহরিনের কাছে হারের রাতে চোখের দু’পাতা এক করতে পারেননি সুনীল। শুধু ভেবেছেন, কীভাবে এই অপ্রত্যাশিত ফল হল। তাঁর বক্তব্য, ‘সাধারণত আমি একটু বেশি ঘুমোই। কিন্তু ওই রাত ছিল একেবারে অন্যরকম। থাইল্যান্ডের বিরুদ্ধে জেতার পর রাউন্ড অব সিক্সটিনে ওঠার ব্যাপারে প্রচণ্ড আত্মবিশ্বাসী ছিলাম। তাই এই ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে পারিনি। শারীরিক সক্ষমতায় নয়, আমরা হেরেছি শুধুমাত্র মানসিকতায়। ভারতের এই দলের ফিটনেস যথেষ্ট ভালো। হোলিচরণ নার্জারি ১৮০ মিনিট একই দমে খেলতে পারে। কিন্তু গ্রুপের শেষ ম্যাচে আমরা পারফরর্ম করতে চূড়ান্ত ব্যর্থ হয়েছি। সিনিয়র ফুটবলার হিসেবে চিৎকারের মাধ্যমে বাকিদের উদ্দীপ্ত করার দায়িত্ব নেওয়ার চেষ্টা করেছি। এএফসি এশিয়ান কাপের মতো প্রতিযোগিতায় বল উড়িয়ে খেলে সফল হওয়া যায় না।’
ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে ১১৩ তম স্থানে থাকা বাহরিনের বিরুদ্ধে ম্যাচে সারাক্ষণই রক্ষণ সামলাতে ব্যস্ত থেকেছে স্টিভন কনস্টানটাইনের দল। বিরতির পরেও স্ট্র্যাটেজিতে বিন্দুমাত্র রদবদল দেখা যায়নি। এই বিষয়ে সুনীল ছেত্রীর বিশ্লেষণ, ‘এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ জেতার জন্য ইতিবাচক মানসিকতার প্রয়োজন। বাহরিনের বিরুদ্ধে আমরা ঠিক এই জায়গাতেই পিছিয়ে ছিলাম। কেউ আমাদের ডিফেন্সিভ খেলতে বলেনি। আমরা সেদিন বল হোল্ড করতে পারিনি। বিপক্ষের আক্রমণের চাপ সামলাতে শুধু উদ্দেশ্যহীনভাবে বল উড়িয়েছি। এরকমভাবে ৯০ মিনিট দুর্গ অক্ষত রাখা কঠিন। সবাই যেন সেদিন মনে মনে বলছিলাম, আর কিছুক্ষণ বাহরিনকে আটকে দিতে পারলেই কেল্লাফতে। কিন্তু এই মঞ্চে যে মানসিকতা একেবারেই অচল।’
কোচ স্টিভন কনস্টানটাইনের ইস্তফা প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে সুনীলের উত্তর, ‘উনি এই সিদ্ধান্তের কথা ফুটবলারদের জানিয়েছিলেন।’ উল্লেখ্য, এশিয়ান কাপ থেকে বিদায় নিলেও ক’দিন সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে ছুটি কাটানোর পরিকল্পনা রয়েছে সুনীলের। তারপর ইন্ডিয়ান সুপার লিগে খেলার জন্য তিনি দেশে ফিরবেন।