পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
বাহরিন তো এশিয়া ফুটবলের অন্যতম সেরা শক্তি। ভারত তো বেশি রক্ষণাত্মক ফুটবল খেলতে গিয়ে ডুবেছে। সুনীল ছেত্রী যখন বল ধরছে, তখন মনে হয়েছে কিছু হতে পারে। কিন্তু দলে হোল্ডিং প্লেয়ার নেই। বল ধরে বা পজিশনাল ফুটবল খেলতে না পারলে সেই দলের আক্রমণ জোরদার হয় না। বল ধরে খেলতে না পারলে স্ট্রাইকারদের উদ্দেশ্যে বল ফিডও করা যায় না। এমনকী বাহরিন ম্যাচে লুজ বলগুলো ধরে ঠিকমতো খেলতে পারলে ম্যাচটা বের করে নিতে পারত ভারত। তা আর হল কই? গ্রুপের প্রথম দুটি ম্যাচে থাইল্যান্ড ও ইউএই’র বিরুদ্ধে সুনীলরা যে ফুটবল খেলেছিল, তা বাহরিনের বিরুদ্ধে আংশিক খেলতে পারলে স্টিভনের দলকে নিয়ে ভালো কিছু স্বপ্ন দেখাই যেত। অনেকে দেখলাম, বাহরিনের কাছে হারের জন্য ভারতের অধিনায়ক প্রণয় হালদারকে দায়ী করছেন। আমি সেই দলে নেই। ওইরকমএকটা মুহূর্তে প্রণয়ের পক্ষে পা সরিয়ে নেওয়া মুশকিল। পেনাল্টিটা একেবারেই ব্যাডল্যাক। আসলে সোমবার বাহরিন ম্যাচে ভারতের লক্ষ্যই ছিল, হারব না। কিন্তু এই দলটার তো জেতার ক্ষমতা রয়েছে। থাইল্যান্ড ম্যাচে তো দেখেছি। নেতিবাচক মানসিকতা নিয়ে মাঠে নামলে সাহসী ফুটবল খেলা কঠিন। প্রণয়দের মাথার মধ্যে অবিরত ঘুরপাক খেয়েছে ‘হারব না, হারা চলবে না’ মন্ত্রটি। তার ফলেই ম্যাচের শেষলগ্নে গোল হজম করেছে ভারত।
এশিয়ান কাপ থেকে ভারত থেকে ছিটকে যাওয়ার পর অনেকের প্রশ্ন, এই ভারতীয় দলের ভবিষ্যত কি? আমার উত্তর, ‘আরও বেশি করে শাফলিং করতে হবে। তরুণ ফুটবলার বেশি করে তুলে আনতে হবে।’ একটা ব্যাপার স্পষ্ট, আমাদের ছেলেরা যে বিশ্বের শক্তিশালী টিমের বিরুদ্ধে সমানে সমানে ফুটবল খেলতে পারে, সেটা প্রমাণিত। অনূর্ধ্ব ১৭ বিশ্বকাপে তা আমরা দেখেছি। এবার দরকার, সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখা।