বিতর্ক বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থ উপার্জনের সুযোগ। ... বিশদ
বৃহস্পতিবার ম্যাচের শেষে কোচ স্টিভন কনস্টানটাইন বলেন, ‘হারলেও ছেলেদের পারফরম্যান্সে আমি গর্বিত। আশা করি, ভারতীয় ফুটবলপ্রেমীরাও আমাদের প্রশংসাই করছেন। ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে এগিয়ে থাকা সংযুক্ত আরব আমিরশাহির বিরুদ্ধে প্রাপ্ত সুযোগ কাজে লাগাতে পারলে তিন পয়েন্ট নিয়েই ড্রেসিং-রুমে ফিরতাম। জানি না, এর আগে আন্তর্জাতিক মঞ্চে এরকম ফুটবল ভারত শেষ কবে খেলেছে। তা সত্ত্বেও বেশ কয়েকজন ফুটবল পণ্ডিত সমালোচনা শুরু করেছেন। যা আদৌ কাঙ্ক্ষিত নয়। প্রতিযোগিতার এই পর্বে ফুটবলারদের মনোবল ভেঙে দেওয়ার জন্য কোনও কৌশলই আমি সফল হতে দেব না।’
সংযুক্ত আরব আমিরশাহির বিরুদ্ধে ম্যাচের দুই অর্ধে ভারতের দু’টি প্রয়াস ক্রসপিসে লাগে। প্রথমার্ধে উদান্তা সিংয়ের দুরন্ত শট বিপক্ষ গোলরক্ষককে হার মানিয়েও ক্রসপিসে আছড়ে পড়ে। শেষ লগ্নে সন্দেশ ঝিংগানের হেডেরও একই পরিণতি হয়। থাইল্যান্ডের বিরুদ্ধে দ্বিতীয়ার্ধের প্রারম্ভিক পর্বে আক্রমণে ঝড় তুলেছিল ভারত। গোলও পেয়েছিলেন সুনীল ছেত্রী ও অনিরুদ্ধ থাপা। বৃহস্পতিবার অবশ্য দুই অর্ধের শুরুতেই দুরন্ত আক্রমণাত্মক ফুটবল উপহার দেয় ভারত। বল পজেশনে পিছিয়ে থাকলেও সুনীলদের আক্রমণের সময় ত্রাহি ত্রাহি রব উঠেছে সংযুক্ত আরব আমিরশাহি রক্ষণে। প্রথমার্ধে সুনীল ও আশিক কুরিয়ানের প্রচেষ্টা সফল হলেই ম্যাচের ফল অন্যরকম হত বলে বিশেষজ্ঞদের ধারণা।
সোমবার গ্রুপের শেষ ম্যাচে বাহরিনের বিরুদ্ধে জয়ের লক্ষ্যেই নামবে ভারত। কোচ স্টিভন কনস্টানটাইন জানেন, ড্রয়ের মানসিকতা নিয়ে মাঠে নামলে হারের সম্ভাবনা থেকেই যায়। তাই শেষ ম্যাচেও আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলবেন সুনীল ছেত্রীরা। তার আগে ডিফেন্ডারদের ভুলত্রুটি শুধরে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন স্টিভন। সংযুক্ত আরব আমিরশাহির বিরুদ্ধে ম্যাচের ৪১ ও ৮৮ মিনিটে গোল হজম করতে হয়েছে ভারতকে। অর্থাৎ, প্রতি অর্ধের শেষ পাঁচ মিনিট মনঃসংযোগে চিড় ধরছে সন্দেশ-আনাসদের। এই প্রসঙ্গে স্টিভনের মন্তব্য, ‘যে গতিতে আমরা অপারেট করেছি তা তুলনাহীন। ফলে রক্ষণে সামান্য ফাঁকফোঁকর তৈরি হতেই পারে। এই নিয়ে হইচই করার কিছু হয়নি। ছেলেরা জানে, অনুশীলনে কীভাবে নিজেদের নিখুঁত করে তুলতে হয়।’ আসলে সোমবার মরণ-বাঁচন ম্যাচ বাহরিনের। কারণ ভারতের সঙ্গে ড্র করলেও তাঁরা ছিটকে যাবে।