বিতর্ক বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থ উপার্জনের সুযোগ। ... বিশদ
উল্টোদিকে, মোহন বাগান গত ম্যাচে জয় পেয়েছে মিনার্ভা পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে। নতুন কোচ খালিদ জামিলের হাত ধরেই ঘুরে দাঁড়াতে চাইছে শতাব্দীপ্রাচীন ক্লাবটি। চ্যাম্পিয়নশিপের দৌড়ে ঢুকতে গেলে আগামী কয়েকটি ম্যাচ জয়ের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে হবে সনি নর্ডিদের। ঐতিহ্যের ডার্বিতে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ইস্ট বেঙ্গলের মুখোমুখি হওয়ার আগে শনিবার যে কোনও মূল্যেই তিন পয়েন্ট চাইছে সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। পাশাপাশি প্রথম পর্বের হারের বদলা নেওয়ার জন্য তাল ঠুকছেন ডিপান্ডা ডিকারা। উল্লেখ্য, ১২ ম্যাচে শিলটন পাল-ওমরদের সংগ্রহ ১৮ পয়েন্ট।
গত বছরের শেষ ম্যাচে এই নেরোকা এফসি’র কাছেই ১-২ গোলে হেরেছিল মোহন বাগান। উত্তর-পূর্ব ভারতের দলটি দু’টি গোলই পেয়েছিল সেট পিস মুভমেন্ট থেকে। তাই এই ব্যাপারে যথেষ্ট সতর্ক মোহন কোচ খালিদ জামিল। শুক্রবার সকালে ঘণ্টাখানেকের অনুশীলনে ডিফেন্ডারদের পাশাপাশি ইউটা কিনোয়াকি এবং ড্যারেন ক্যালডেইরাকে তিনি বুঝিয়ে দেন, বিপক্ষের সেট পিসের সময় কীভাবে তৈরি থাকতে হবে। এছাড়া আক্রমণ তৈরির ক্ষেত্রে সনি নর্ডি-ওমরদের বাড়তি দায়িত্ব নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। গত ম্যাচে মিনার্ভার বিরুদ্ধে নামানো প্রথম একাদশে খুব বেশি পরিবর্তন আনতে চাইছেন না খালিদ। তবে রাইট উইং ব্যাকে অরিজিৎ বাগুই এবং ডিপ ডিফেন্সে কিমকিমার ফেরার সম্ভাবনা উজ্জ্বল। এছাড়া বাকি দল অপরিবর্তিত থাকছে। অর্থাৎ ৪-২-৩-১ ফর্মেশনেই নেরোকা বধের ব্লু-প্রিন্ট সাজাচ্ছেন পালতোলা নৌকার সারথি। সিঙ্গল স্ট্রাইকারে ডিপান্ডা ডিকাকে রেখে তাঁর পিছনে আজহারউদ্দিন মল্লিক, ওমর ও সনি নর্ডিকে ব্যবহার করবেন তিনি। ডিফেন্সিভ মিডিওর ভূমিকায় ইউটা কিনোয়াকি এবং ড্যারেন ক্যালডেইরা। রক্ষণ কিংসলের পাশে কিমকিমা, অরিজিৎ বাগুই ও অভিষেক আম্বেকর। দুর্গরক্ষায় অভিজ্ঞ শিলটন পাল।
শনিবারের বারবেলায় আয়োজিত ম্যাচের ফল অনেকটাই নির্ভর করছে কাটসুমি ইউসা এবং এডুয়ার্ডোর উপর। প্রাক্তন দল মোহন বাগানের বিরুদ্ধে প্রথম পর্বের ম্যাচে দু’জনেই দুরন্ত ফুটবল উপহার দিয়েছিলেন। উল্লেখ্য, গত মরশুমে এই দুই ফুটবলার ইস্ট বেঙ্গলে খালিদ জামিলের প্রশিক্ষণে খেলেছিলেন। তাই কাটসুমি ও এডুয়ার্ডোর শক্তি ও দুর্বলতা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল মোহন কোচ। মাঝমাঠে কাটসুমির দৌড় থামানোর জন্য ইউটা কিনোয়াকিই প্রধান অস্ত্র খালিদের। এই দুই জাপানি ফুটবলারের লড়াই ম্যাচের অন্যতম মুখ্য আকর্ষণ। উল্লেখ্য, শনিবার হলুদ কার্ড দেখলেই ডার্বিতে খেলতে পারবেন না ইউটা কিনোয়াকি।
শুক্রবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে খালিদ বলেন, ‘আমাদের রক্ষণ জমাট রাখতে হবে। নেরোকা যথেষ্ট শক্তিশালী দল। উইলিয়ামস, সুভাষ সিং, ফেলিক্স চিডি কাটসুমিদের মতো ফুটবলার রয়েছে। তাই ওদেরকে আক্রমণ গড়ার জন্য জায়গা দেওয়া চলবে না। নির্দিষ্ট পরিকল্পনা অনুযায়ী আমরা অনুশীলন করছি। সেট পিসে প্রতিপক্ষ অত্যন্ত বিপজ্জনক। তাই সেদিকেও খেয়াল রাখা জরুরি। ম্যাচের ফল নিয়ে আগাম ভাবনাচিন্তা করে মাঠে নামবে না সনিরা। ইতিবাচক মানসিকতা ধরে রাখতে পারলে জয় আসবেই।’
নেরোকা এফসি’র ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার এডুয়ার্ডোর মন্তব্য, ‘খালিদ জামিল ভালো কোচ। তবে মোহন বাগান নিয়ে ভাবনাচিন্তা করা আমাদের কাজ নয়। শনিবার তিন পয়েন্টের জন্য প্রত্যেকে মনঃসংযোগ করছে। জানি. মোহন বাগানের অধিকাংশ আক্রমণ উইং থেকেই হয়। তাই দুই উইং ব্যাককে সতর্ক থাকতে হবে। ঘরের মাঠে সবুজ-মেরুনের বিরুদ্ধে গোল করেও উচ্ছ্বাস দেখাইনি। কারণ, মোহন বাগানকে আমি ভালোবাসি। কিন্তু মাঠে ৯০ মিনিটে যার ছিটেফোঁটা প্রভাবও আমার পারফরম্যান্সে পড়বে না।’ মোহন বাগানে থাকার সময় সনিকে খুব কাছ থেকেই দেখেছেন এডু। তাই তাঁর থেকে পরামর্শ নিতে ভুলছেন না নেরোকার কোচ ম্যানুয়েল ফ্রেইল। এদিন সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘শনিবার মোহন বাগানকে হারাতে পারলে আমরা পয়েন্টের নিরিখে চেন্নাই সিটি এফসি’কে স্পর্শ করতে পারব। ওদের তুলনায় একটি ম্যাচ বেশি খেলেও ২৪ পয়েন্টে পৌঁছাতে পারলে ভালো লাগবে। মোহন বাগানের শক্তি ও দুর্বলতা আমার নোটবুকে উঠে গিয়েছে। সেট পিস থেকে গোল করার অভ্যাস বজায় রাখার জন্য অনুশীলনে জোর দিয়েছি।’