বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
ডিসি (ট্রাফিক) পুষ্পা বলেন, ই-চালান মেশিন এসেছে। সেগুলির সাহায্যে ঘটনাস্থল থেকে এটিএমের মাধ্যমে ফাইন নেওয়া যাবে। এছাড়াও স্পিড লেজার গান ও ব্রেথ অ্যানালাইজার দিয়েও চালকদের গতিবিধি দেখা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, গতির খেলায় মেতেছে বর্তমান যুব সমাজের একাংশ। পুজোর মরশুম নয়, শহরাঞ্চলে সারা বছর ধরেও এই রোমিওরা গাড়ির পাশের সিটে বা বাইকের পিছনের সিটে প্রেমিকা বা বান্ধবীকে বসিয়ে অত্যধিক গতির প্রতিযোগিতায় মাতছে। অনেক সময়ে প্রেমিকার জায়গা নিচ্ছে বন্ধুরাও। সাম্প্রতিককালে কলকাতা ও শহরতলিতে একাধিক বড় দুর্ঘটনা ঘটেছে, যার নেপথ্যে ছিল গতি। তারা যেমন নিজেদের প্রাণকে হাতে নিয়ে খেলছে, তেমনই পথ চলতি মানুষদেরও অতিষ্ঠ করে রেখেছে। তবে এই সমস্যা শুধু কলকাতায় নয়, রয়েছে আসানসোল দুর্গাপুরের মতো শহরাঞ্চলেও। এই আধুনিক শহরগুলিতে দ্রুতগতিতে ছোটা বাইক ও গাড়ি নিয়ে নাজেহাল পুলিস। খালি হাতে ওদের ধরতে যাওয়াও বিপজ্জনক। কখনও পুলিসি চেকিং এড়াতে আরও গতি বাড়িয়ে অপরের জীবনহানি ঘটনোর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে, কখনও আবার নিজেরাই দুর্ঘটনার শিকার হয়। তার উপর তাদের আটক করলেও নানা ফিরিস্তি রয়েছে। ধনী পরিবারের ছেলে থেকে মেয়েদের অনেকেরই বাহানা থাকে, এটিএম কার্ডের মাধ্যমে এখনই ফাইন কাটুন, কেউ আবার বলে পকেটে টাকা নেই কার্ডে পেমেন্ট করব। অনেক সময়ে ব্যাঙ্কে গিয়ে চালানের টাকা জমা করার ঝক্কি নিতে চায় না। তবে পুলিসও কিন্তু এবার আধুনিক হচ্ছে। তাই বেপরোয়া বাইক চালকদের বাগে আনতে একাধিক নতুন মেশিনের সাহায্যে শুরু হয়েছে চেকিং। তাদের মধ্যে রয়েছে স্পিড লেজার গান। এর মাধ্যমে দূর থেকে দ্রুতগতিতে আসা কোনও গাড়ি বা বাইকের উপর লেজার রশ্মি ফেললেই ধরা পড়ে যাবে গাড়িটি কত গতিতে আসছে। এমনকী তার ছবিও উঠে যাবে। এরপর চেকিংয়ে গাড়িটি না দাঁড়ালেও পার পাওয়ার উপায় নেই। বাড়িতে চলে যাবে ফাইনের চালান। এছাড়াও কমিশনারেটের ট্রাফিক পুলিসের হাতে এসেছে ই-চালান মেশিন। মেশিনটি ইন্টারনেটের সঙ্গে সংযুক্ত থাকছে। নিয়মভঙ্গকারী গাড়ির ছবি তুলে নাম ও মোবাইল নম্বর দিয়ে এটিএম কার্ডের মাধ্যমে তৎক্ষণাৎ চালান কেটে রসিদ বেরিয়ে আসবে। এর সুবিধা হল, কোনও নিয়মভঙ্গকারী চালকের কাছে নিজের এটিএম কার্ড না থাকলেও অন্যের এটিএম কার্ড থেকেও এই পরিষেবা নিতে পারবে। তাতে একদিকে যেমন ব্যাঙ্কে গিয়ে চালানের সমস্যা মিটবে, তেমনই পুলিসের ‘পেপার ওয়ার্ক’ অনেক কমবে।