বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতি বলেন, সাড়ে তিন মাস আগে আমরা ওই বিধানসভায় দলীয় পর্যবেক্ষক ঠিক করেছিলাম। পর্যবেক্ষকরা ওয়ার্ডের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে সমন্বয় স্থাপন করেছিলেন। পরবর্তীকালে জেলা পর্যবেক্ষক শুভেন্দু অধিকারী এসে নির্বাচনের রণকৌশল ঠিক করে দিয়েছেন। ইতিমধ্যেই বিধায়ক থেকে জেলা পরিষদের সভাধিপতি, জেলা পরিষদের অধিকাংশ কর্মাধ্যক্ষ খড়্গপুরে সারাদিন ওয়ার্ডভিত্তিক প্রচার করছেন। বিধানসভা এলাকায় প্রতিটি বাড়িতে তিনবার করে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই এই সব জনপ্রতিনিধিদের দু’বার করে বাড়ি বাড়ি প্রচার করা হয়ে গিয়েছে। প্রচারের শেষ দিন শনিবারের মধ্যে তিনবার করে প্রচার হয়ে যাবে। আমি নিজে সমস্ত বিষয়টি তদারকি করছি। কোথাও কোনও ঘাটতি থাকলে দলীয়ভাবে যা যা করার দরকার, আমরা তা করছি। প্রতিদিন রাত ৯টার মধ্যে বিধানসভার সার্বিক রিপোর্ট নিয়ে পর্যালোচনা করা হচ্ছে। আর সেই বিষয়টি জেলা পর্যবেক্ষক শুভেন্দু অধিকারিকে জানানো হচ্ছে।
গত লোকসভা নির্বাচনে খড়্গপুর বিধানসভায় বিজেপি প্রায় ৪৮ হাজার ভোটের লিড পেয়েছিল। অঙ্কের হিসেবে বিজেপি এই বিধানসভা এলাকায় অন্য রাজনৈতিক দলের থেকে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে। কংগ্রেস-বাম জোট প্রার্থী চিত্তরঞ্জন মণ্ডলের এই বিধানসভা এলাকায় যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে। দীর্ঘদিন এই আসনটি কংগ্রেসের দখলে ছিল। ফলে, এই এলাকায় কংগ্রেসের নিজস্ব ভোটব্যাঙ্ক রয়েছে। বামপন্থীদের ভালো সংখ্যক ভোট রয়েছে। ফলে, এই নির্বাচনে কংগ্রেস প্রার্থীও অন্যতম ফ্যাক্টর। আর বিজেপি প্রার্থী প্রেমচাঁদ ঝা সংসদ সদস্য দিলীপ ঘোষের অনুগামী হওয়ায় রাজ্য নেতৃত্ব মাটি কামড়ে পড়ে রয়েছে। জেলার সবস্তরের নেতা-কর্মীও এলাকায় মাটি কামড়ে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে জনসংযোগ শুরু করেছেন।
অন্যদিকে, খড়্গপুর পুরসভার চেয়ারম্যান তথা তৃণমূল প্রার্থী প্রদীপ সরকার নিজেকে পাড়ার ছেলে, বাড়ির ছেলে হিসেবে তুলে ধরে সাধারণ মানুষের অনেকটাই মন জয় করেছেন বলে দলীয় নেতৃত্বের দাবি। তৃণমূলের এক জনপ্রতিনিধি বলেন, বাড়ি বাড়ি গিয়ে মানুষের সঙ্গে কথা বলে যা বুঝেছি, তাতে তৃণমূলের প্রার্থী নিয়ে কারও কোনও আপত্তি নেই। মানুষ প্রদীপকে ভালোভাবে গ্রহণ করেছে। কেউ কেউ সামান্য পরিষেবা নিয়ে কিছু দাবি করছেন। তার বাইরে আমাদের দেখে কেউ মুখ ঘুরিয়ে নিচ্ছেন, এমনটা হয়নি। লোকসভা নির্বাচনে মোদি হাওয়া অন্যতম ফ্যাক্টর ছিল। তখন বিজেপি এক ধাক্কায় অনেক বেশি ভোট পেয়েছিল। বিধানসভা উপনির্বাচনে মোদি হাওয়া বলে কিছু নেই। আর কেন্দ্রের ভ্রান্ত নীতির জন্য দেশের কী অবস্থা, তা সবাই বুঝতে পারছেন। ফলে, লোকসভা ভোটের ফলের কোনও প্রভাবই এই নির্বাচনে পড়বে না।