পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
এ বিষয়ে কাটোয়ার মহকুমা শাসক সৌমেন পাল বলেন, এদিন বেলা ১১টার পর স্কুলের শিক্ষকরা স্কুলে এসেছেন। এছাড়া ছুটির দিনে স্কুলে পড়ুয়াদের উপস্থিতি দেখিয়ে মিডডে মিলের হিসেব করা হয়েছে। আমরা ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষককে শোকজ করেছি। জবাব আসার পর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিন কাটোয়া পূর্ব চক্রের অধীন কাটোয়া-২ ব্লকের পলসোনা পঞ্চায়েতের রোণ্ডা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আচমকা পরিদর্শনে যান মহকুমা শাসক। তিনি ১০টা ৩০মিনিট নাগাদ স্কুলে গিয়েও শিক্ষকদের দেখা পাননি। সমস্ত শিক্ষক ১১টার পর আসেন বলে দাবি মহকুমা শাসকের। এরপর স্কুলে দেরি করে আসার কারণ জিজ্ঞাসা করলে কোনও শিক্ষকই সদুত্তর দিতে পারেননি। এরপরেই মহকুমা শাসক স্কুলের মিড-ডে মিলের হিসেব পরীক্ষা করতে গিয়ে হতবাক হয়ে যান। ১৮ নভেম্বের কার্তিক পুজো উপলক্ষে স্কুলে পড়ুয়া না থাকলেও মিড-ডে মিলের খাতায় তারা উপস্থিত আছে বলে দেখানো হয়েছে। যদিও স্কুলের প্রধান শিক্ষক এর কারণ জানাতে পারেননি।
প্রধান শিক্ষক নিমাইচাঁদ সাঁতরা বলেন, স্কুলে ছুটির দিনে অনুপস্থিত পড়ুয়াদের মিড-ডে মিলের খাতায় উপস্থিত দেখানো আমাদের ভুল হয়েছে। কিন্তু অঞ্চল স্পোর্টসের জন্য আমাদের একদিনের পুরো মিডডে মিলের টাকা চাঁদা দিতে হয়। সেইজন্যই এসব করা হয়েছে। এছাড়া এদিন মেঝিয়ারি গ্রামে হাট বসার দিন। তাই যানজটের কারণে স্কুলে আসতে অন্যান্য শিক্ষকদের দেরি হয়েছে। আর আমি নিজে বিএলও পদেও রয়েছি। তাই ভোটের কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র আনতে গিয়ে স্কুলে আসতে দেরি হয়েছে।
এদিকে এই ঘটনার পর একাধিক প্রশ্ন উঠেছে। যেখানে স্কুলের স্পোর্টসের জন্য সমস্ত খরচ রাজ্য সরকার বহন করে, সেখানে একদিনের মিডডে মিলের টাকা কেন বেআইনিভাবে চাঁদা নেওয়া হবে। এই ঘটনায় অভিভাবক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। অভিভাবকদের দাবি, অনেক স্কুলে মিড-ডে মিলের খাতায় গরমিল রয়েছে। তদন্ত করলে কেঁচো খুঁড়তে কেউটে বেরিয়ে পড়বে। তবে এদিনের ঘটনায় ক্ষুব্ধ মহকুমা শাসক ওই স্কুলের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছেন।