বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার মেয়র, চেয়ারম্যান, মেয়র পরিষদদের নিয়ে বৈঠকে বিশেষ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। ছ’জন মেয়র পরিষদ, চেয়ারম্যান, ডেপুটি মেয়র ও মেয়র ন’টি টিমে ভাগ হয়ে অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ারদের নিয়ে প্রতিটি ওয়ার্ডের কাজের খতিয়ান খতিয়ে দেখবেন। উন্নয়নের লক্ষ্যে এই সিদ্ধান্ত বলা হলেও রাজনৈতিক মহলের মতে মেয়াদ শেষের আগে পুরসভার শীর্ষ কর্তারা দেখে নিতে চাইছেন কোন ওয়ার্ডের কাউন্সিলার কেমন কাজ করেছেন। যা পরবর্তী পুরভোটে টিকিট পাওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ মার্কশিট হতে পারে।
মেয়র জিতেন্দ্র তেওয়ারি বলেন, হাউসিং ফর অল প্রকল্পে কোনও নেতা বা জনপ্রতিনিধি কাটমানি হিসেবে বাড়তি টাকা চেয়েছে এমন অভিযোগ আসেনি। তবু যদি কোনও কাউন্সিলার বা নেতা বাড়ি তৈরির জন্য কাটমানি চান, তাহলে পুরসভায় অভিযোগ জানালে তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর করা হবে। অন্যদিকে এদিন বৈঠকে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির সদস্যরা ১০ থেকে ১২টি ওয়ার্ডের এতদিন কী কী কাজ হয়েছে, শেষ ছ’মাসে কী কী কাজ করা সম্ভব তা খতিয়ে দেখবে। এমনকী পরবর্তী বোর্ডে কী কাজ করা যেতে পারে তাও দেখা হবে। কারণ আমরা নিশ্চিত পরবর্তী বোর্ড তৃণমূলই গঠন করবে।
২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে আগামী বছরে আসানসোল পুরসভার মেয়াদ শেষ হচ্ছে। এলাকার পাঁচটি বিধানসভা ক্ষেত্রের অংশ নিয়ে গঠিত ১০৬ ওয়ার্ডে এই বৃহৎ কর্পোরেশন নির্বাচন হলে তা হবে জেলার বিধানসভা ভোটের সেমিফাইনাল। কারণ মেয়র জিতেন্দ্র তেওয়ারি তৃণমূলের জেলা সভাপতি। তাই এই নির্বাচনে জয়-পরাজয়, ঘরে বাইরে তাঁর মর্যাদার লড়াই। তাই নিজের বিশ্বস্ত সেনাপতিদের নিয়ে ঘুঁটি সাজাচ্ছেন তিনি। তারই আগে পুরসভার স্বচ্ছ ভাবমূর্তি তুলে ধরতে অনিয়ম ঠেকাতে মরিয়া তিনি। তাই তিনি স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন, এক্ষেত্রে কোনওরকম সমঝোতা হবে না। অভিযোগ পেলেই থানায় লিখিত অভিযোগ করবে পুরসভা।
এদিকে কাটমানি ছাড়া পুর এলাকার কমপক্ষে ১৫ হাজার পরিবারের হাতে নতুন বাড়ি তুলে দিয়ে যেমন পুরসভাকে দুর্নীতিমুক্ত করার চেষ্টা করেছেন। তেমনই বিজেপিকেও এই ইস্যুতে একহাত নিয়েছেন মেয়র। তাঁর দাবি, সেল, ইসিএল, রেলের জমিতে বহু গরিব মানুষ বসবাস করেন। আগেও এইসব এলাকায় সরকারি বাড়ি হয়েছে। কিন্তু বিজেপি শাসিত কেন্দ্রীয় সরকার যা নিয়ম করেছে, তাতে তা সম্ভব নয়। অনেক মানুষ এই কারণে বাড়ি থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। সব জেনেও চুপ এলাকার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।