পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
প্রসঙ্গত, জমির রেকর্ড সংক্রান্ত কাজের জন্য পঞ্চায়েত থেকে উত্তরাধিকার শংসাপত্র নিয়ে তা ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তরের জমা দিতে হয়। বাঘমুণ্ডিতে সেই কাজের জন্য অযোধ্যা গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দারা গত কয়েকদিন ধরেই ওই শংসাপত্রের জন্য পঞ্চায়েত অফিসে ভিড় জমান। সেই সুযোগেই কোনওরকম রসিদ ছাড়া ওই শংসাপত্রের জন্য গ্রামবাসীদের কাছে প্রতি জনপিছু ১০০টাকা করে নেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন গ্রামবাসীরা।
অযোধ্যা পাহাড়ের সাহারজুড়ি গ্রামের বাসিন্দা বলিবাস মুর্মু বলেন, বুধবার পঞ্চায়েত অফিসে উত্তরাধিকার শংসাপত্র নেওয়ার সময় বলা হয়, এই শংসাপত্র দেওয়ার জন্য একটি ফি ধার্য করা হয়েছে। প্রতিজন পিছু ১০০টাকা। আমি চারভাইয়ের জন্য শংসাপত্র নিয়েছি। তাই ৪০০ টাকা দিতে হয়েছে।
সরস্বতী মুড়া নামে এক বাসিন্দা বলেন, ডেথ সার্টিফিকেট নিতে এসেছিলাম। পাঁচ বোনের জন্য ৫০০ টাকা লেগেছে। ওই টাকা নেওয়া বেআইনি কি না তা জানি না। ওই টাকা ফেরতের দাবি জানাচ্ছি।
স্থানীয় বাসিন্দা মনসারাম মুর্মু বলেন, উত্তরাধিকার শংসাপত্রের জন্য কারও কাছে ১০০ টাকা, কারও কাছে আরও বেশি টাকা নেওয়া হচ্ছে। পঞ্চায়েতের কর্মীরা টাকা নিচ্ছেন। মেমো নম্বর দেওয়ার জন্য টাকা নিচ্ছেন। এবিষয়ে অভিযোগ করা হয়েছে। বিডিওকেও বিষয়টি ফোনে জানিয়েছি।
এবিষয়ে ঈশ্বর সোরেন নামে এক গ্রামবাসী বলেন, উত্তরাধিকার শংসাপত্র চার ভাইয়ের নিয়েছি। আমাদের কাছে ৫০০টাকা নেওয়া হয়। কোনও রসিদও দেওয়া হয়নি। ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তরের ওই নথি জমা দেওয়ার জন্যই পঞ্চায়েত থেকে এই শংসাপত্র নিতে হচ্ছে।
এবিষয়ে অযোধ্যা গ্রাম পঞ্চায়েতের সচিব যামিনীকান্ত পাল বলেন, উত্তরাধিকার শংসাপত্রের জন্য কোনও টাকা নেওয়া হয়নি। লোকের কাছে ভুল বার্তা গিয়েছে। পঞ্চায়েতের কর আদায় করা হচ্ছে। রসিদ বই শেষ হয়ে যাওয়ায় রসিদ দেওয়া সম্ভব হয়নি। খাতায় লিখে রাখা হয়েছে।
এবিষয়ে অযোধ্যা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মুকুন্দ মুর্মুর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। বৃহস্পতিবার সারাদিন অপেক্ষা করেও তাঁকে অফিসে পাওয়া যায়নি। অন্যদিকে, বিষয়টি নিয়ে হইচই শুরু হতেই এদিন দুপুরে পঞ্চায়েতের দেওয়ালে একটি পোস্টার সাঁটিয়ে দেয় পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ। তাতে লেখা রয়েছে, উত্তরাধিকার বা অন্য কোনও শংসাপত্রের জন্য গ্রাম পঞ্চায়েতে কোনও টাকা লাগে না। কেবল মাত্র ট্যাক্স এবং নন ট্যাক্সের টাকা গ্রাম পঞ্চায়েতকে জমা দিতে হবে। টাকা দেওয়ার সময় নিজেদের রসিদ বুঝে নেবেন। যদিও গত কয়েকদিনে রসিদ ছাড়া উত্তরাধিকার শংসাপত্রের নামে গ্রামবাসীদের কাছে কেন টাকা নেওয়া হয়েছিল সেবিষয়ে কোনও সদুত্তর দিতে পারেনি পঞ্চায়েতের আধিকারিকরা।