পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
জেলা হাসপাতালের সুপার নিখিলচন্দ্র দাস বলেন, কোনও বিশেষ দিনে রক্তদান শিবির আয়োজন না করে যদি সারাবছর ধরে নির্দিষ্ট রুটিনে রক্তদান শিবির করা যায় তাহলে এই সমস্যা মেটা সম্ভব। ব্লাড ব্যাঙ্কের চিকিৎসক কর্মীদের সক্রিয়তায় আগের তুলনায় অনেক বেশি রক্তদান শিবির আয়োজন করা হচ্ছে। কিন্তু রক্তের চাহিদা বেড়েই চলেছে।
আসানসোল জেলা হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্কের ইনচার্জ সঞ্জিত চট্টোপাধ্যায় বলেন, আমরা চাই কোনও মনীষীকে শুধুমাত্র তাঁর জন্মদিনে রক্তদান শিবির আয়োজন করে শ্রদ্ধা না জানিয়ে বছরের নানা সময়ে দুঃস্থ রোগীদের পাশে দাঁড়িয়ে তাঁকে সম্মান জানানো হোক।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা(হু) চাইছে, ২০২০ সালের মধ্যে প্রয়োজনীয় ১০০ শতাংশ রক্তই যেন স্বেচ্ছায় রক্তদান থেকে দেওয়া সম্ভব হয়। জানা গিয়েছে, কেউ যখন স্বেচ্ছায় রক্তদান করেন, তিনি কোনও রোগের কথা গোপন করেন না। তাই অনেক ভালো মানের রক্ত সংগ্রহ করা সম্ভব হয়। কিন্তু যখন কোনও রোগীর রক্তের প্রয়োজনে তাঁদের পরিবার বা পরিচিতদের কাছ থেকে একপ্রকার বাধ্য করেই রক্ত সংগ্রহ করা হলে সেরকম গুণমানের রক্ত সবসময় পাওয়া যায় না। কিন্তু আসানসোলে যেভাবে প্রতি বছর রক্তের চাহিদা বেড়ে চলেছে তাতে উল্লেখযোগ্যভাবে ক্যাম্পের সংখ্যা বাড়লেও প্রয়োজনীতা অনেক ক্ষেত্রেই পূরণ করা যাচ্ছে না। হাসপাতাল থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০১৪ সালে রক্তের প্রয়োজনীয়তা ছিল ১১হাজার ৬৯৯ ইউনিট, সেখানে ২০১৮ সালে সেই চাহিদা বেড়ে দাঁড়িয়েছিল ১৫হাজার ২০১ ইউনিটে। তাই ২০১৪সালে যেখানে ১৯০টি রক্তদান শিবির করে ৬হাজার ৯৩৮ ইউনিট রক্ত সংগ্রহ সম্ভব হয়েছিল, সেখানে ২০১৯সালে ইতিমধ্যে ৩৪৬টি রক্তদান শিবির করেও রক্তের চাহিদা পূরণ সম্ভব হচ্ছে না। পুজোর মরশুমে যা চূড়ান্ত বিড়ম্বনায় ফেলেছিল। তবে শুধু অক্টোবর মাস নয়, চলতি মাসেও ঘাটতি রয়েছে রক্তের।
ব্লাড ব্যাঙ্ক সূত্রে জানা গিয়েছে, নেতাজির জন্মদিন, প্রজাতন্ত্র দিবস বা স্বাধীনতা দিবসে যতটা রক্তদান শিবির করার আগ্রহ থাকে অন্য সময় থাকে না। পুজোর সময়ে শিবির একপ্রকার বন্ধ থাকে। সমস্যাটি উপলব্ধি করে এগিয়ে এসেছে রামকৃষ্ণ মিশন। আসানসোলে আজ শুক্রবার একটি রক্তদান শিবিরে অংশ নিচ্ছে আশ্রমের আইটিআই পড়ুয়ারা।