পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
এলাকা সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন মিত্রপুরের রাস্তার ধারে এক হনুমানকে শুয়ে থাকতে দেখেন এলাকাবাসী। অনেকক্ষণ ধরে এভাবে পড়ে থাকতে দেখে মানুষজন হনুমানটিকে ঘিরে ভিড় জমান। আক্রমণের ভয়ে প্রথমে কেউই কাছ ঘেঁষতে সাহস দেখাননি। পরে কেউ কেউ সাহস করে এগিয়ে যেতেই হনুটি পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু পারেনি। উঠতে গিয়ে বারবার পড়ে যাচ্ছিল। পরে অনেক চেষ্টার পর সকাল ১০টা নাগাদ এলাকার রাহুল মিত্র, ভরত প্রামাণিক, সুরজিৎ মুখোপাধ্যায় হনুমানটিকে তুলে টোটোয় চাপিয়ে পাইকর ব্লক পশু চিকিৎসালয়ে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসক হনুমানটিকে একটি ইনজেকশন দেন। পশু চিকিৎসক সুভাষ মণ্ডল বলেন, হনুমানটির পিছনের দু’টি পায়ে প্যারালাইসিস হওয়ায় চলাফেলার শক্তি হারিয়েছে। তাকে স্নায়ুর ভিটামিন ইনজেকশন দেওয়া হয়েছে। কয়েকদিন ধরে একই ইনজেকশন দেওয়ার পাশাপাশি শুশ্রূষার প্রয়োজন। তাহলে হনুমানটি সুস্থ হয়ে উঠবে।
এদিকে এই চিকিৎসালয়ে ইন্ডোরের কোনও ব্যবস্থা না থাকায় হনুমানটিকে নিয়ে সমস্যায় পড়েন গ্রামবাসী। তাঁরা হনুমানটিকে গ্রামে ফিরিয়ে নিয়ে এসে সেবাযত্ন করতে থাকেন। খবর দেওয়া হয় রামপুরহাটের তম্বুনি রেঞ্জ অফিসে। এরপর চলে অপেক্ষা। রাহুল বলেন, হনুমানটিকে মৃত্যুপথযাত্রী হতে দেখে দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ বনদপ্তরে খবর দেওয়া হয়। বিকেল ৪টের সময় খাঁচা সহ ভ্যান এলেও ছিলেন না কোনও বনকর্মী। এনিয়ে মানুষজন ক্ষোভ প্রকাশ করেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে উপস্থিত পুলিস কর্মীরা ওই চালকের নাম ও ঠিকানা নিয়ে হনুমানটিকে হস্তান্তর করে। যদিও তম্বুনি রেঞ্জার শুষেন কর্মকার বলেন, খাঁচাটাই বনদপ্তরের আইডেন্টিটি। তাছাড়া বুঝতেই পারছেন কর্মীর সংখ্যা কম।
এ ব্যাপারে এডিএফও বিজনকুমার নাথ বলেন, মহম্মদবাজার ও সিউড়ি রেঞ্জ অফিসে গাড়ি থাকলেও রামপুরহাট রেঞ্জে গাড়ি নেই। ওঁদের গাড়ি ভাড়া করে বা বাইকের উপর নির্ভর করতে হয়। সমস্ত কিছুরই সমাধান চেয়ে দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে আবেদন করা হয়েছে।