উপার্জন বেশ ভালো হলেও ব্যয়বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। শরীর খুব একটা ... বিশদ
এদিন মিটিংয়ের শুরুতেই মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বলেন, যা হয়েছে তা নিয়ে কাটাছেঁড়া করব না। মানুষজনকে পরিষেবা আরও ভালো দিতে হবে। রেফার নিয়ে চিকিৎসকদের সতর্ক করার পাশাপাশি মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জানিয়ে দেন, রেফার করে দায়মুক্ত হলে চলবে না। আমাদের রেফারেল টার্গেট হবে শূন্য। কিন্তু অনেক সময় পেরে ওঠা যায় না। সেক্ষেত্রে যদি রেফার করতেই হয়, তাহলে সুপারের অনুমতি নিতে হবে।
সম্প্রতি ঝাড়গ্রামে মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক পদে যোগ দিয়েছেন প্রকাশবাবু। যোগ দেওয়ার পরে এদিনই প্রথম জেলা সুপার স্পেশালিটি হাসাপাতালের চিকিৎসকদের নিয়ে তিনি মিটিং করেন। মিটিংয়ে মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বলেন, হাসপাতালের আউটডোরে চিকিৎসকদের নির্দিষ্ট সময় বসতে হবে। নির্দিষ্ট সময়ে রাউন্ড দিতে হবে। চক্ষু ও ইএনটি অপারেশন নিয়ে মানুষজনের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি চক্ষু ও ইএনটিতে অপারেশন শুরু করতে হবে। আপনাদের যা অসুবিধা রয়েছে, তা আমাকে জানান। কোনও রোগীর ক্ষেত্রে বাইরের কোনও ওষুধ যদি একান্ত প্রয়োজন হয়, সেক্ষেত্রে সুপারের জানাতে হবে। সেই মেডিসিন আমরা কিনে দেব। একশো শতাংশ বিনামূল্যে চিকিৎসা দিতে হবে।
এদিন সকালে মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বেলপাহাড়ি ব্লকের ওদলচুয়া, শিলদা, এড়গোদা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পরিদর্শন করেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বেলপাহাড়ি ব্লকের বিএমওএইচ উত্তম মাণ্ডি। ওদলচুয়ায় রোগীদের সঙ্গে কথাও বলেন মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক। নার্সদের কোয়ার্টার ঘুরে দেখেন তিনি। ওদলচুয়া হাসপাতালে রোহিন সিং নামে চিকিৎসাধীন এক রোগীকে মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বলেন, শারীরিক কোনও সমস্যা হলেই আপনারা এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আসবেন। আপনারা যত আসবেন তত আমরা পরিষেবা দিতে পারব। হাসপাতালের ডিউটিরত চিকিৎসক চিন্ময় দে-কে মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বলেন, ভালো কাজ করুন। হাসপাতালের উন্নতির জন্য সবসময় পাশে রয়েছি।