রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, এক সময় মুর্শিদাবাদে খুন, বোমাবাজি, গুলি চালানোর মতো ঘটনা হামেশাই হতো। সেই তুলনায় অপরাধ অনেকটাই কমে গিয়েছে। বেআইনি কারবারেও অনেকটাই রাশ টানা গিয়েছে। এক আধিকারিক বলেন, এখন মাঝেমাঝে খুন বা বোমাবাজির ঘটনা হয় ঠিকই, কিন্তু আগে মুর্শিদাবাদের অবস্থা আরও খারাপ ছিল। মার্ডার সিন্ডিকেটের অধিকাংশই জেলে রয়েছে। বেআইনি অস্ত্র উদ্ধারের জন্যও লাগাতার অভিযান চলছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, একসময় হরিহরপাড়া খুব সাংঘাতিক জায়গা ছিল। মানুষের মুণ্ডু নিয়ে খেলা হতো। ডোমকলেরও খুব বোমাবাজি হতো। তিনি এই থানার আইসিকে নাকা চেকিং বাড়ানোর নির্দেশ দেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কে কোথায় কী করছে তা আগে থেকে খোঁজখবর রাখুন।
সীমান্তবর্তী এলাকাগুলি সম্পর্কেও তিনি জানতে চান। রাজ্যস্তরের এক আধিকারিক জেলার পুলিস কর্তাদের বলেন, বিদেশ থেকে কে কখন আসছে তা নথিভুক্ত থাকা প্রয়োজন। কারও ভিসার মেয়াদ পেরিয়ে যাওয়ার পরেও সে এরাজ্যে থাকছে কিনা সেটাও খোঁজ নেওয়া উচিত। এরপরেই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বিদেশ থেকে এরাজ্যে কারা আসছে তার রিপোর্ট আগে ওরা(কেন্দ্রীয় সরকার) দিত। কিন্তু চার পাঁচ বছর ধরে দেওয়া হচ্ছে না। রানাঘাটে বাংলাদেশ থেকে দুষ্কৃতী এসে অপরাধ করে চলে গেল। সে বিমানে চড়ে চলে গেল।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কেউ কোনও ইনডোর মিটিং করতে চাইলে আগে থেকে খোঁজখবর নিতে হবে। কেউ কোথাও যাতে অশান্তির পরিকল্পনা করতে না পারে সেদিকটাতেও নজর দিতে হবে। পাশাপাশি এদিন মুখ্যমন্ত্রী বহরমপুরের ৮০জন ট্রাফিক গার্ডকে সিভিক ভলান্টিয়ার হিসেবে নেওয়ার নির্দেশ দেন। তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে শহরের ট্রাফিক সামলেও তেমন পারিশ্রমিক পেতেন না। পুরসভা তাদের পারিশ্রমিক দিত। সিভিক ভলান্টিয়ার হিসেবে তাঁদের কাজে নেওয়ায় খুশি পুরসভার ট্রাফিক গার্ডরা।