গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
জেলা যুবকল্যাণ আধিকারিক পারমিতা মণ্ডল বলেন, মাইথন যুব আবাসটি সংস্কারের জন্য বন্ধ ছিল। পূর্তদপ্তর সংস্কারের কাজ সম্পন্ন করে তা আমাদের হস্তান্তর করেছে। আসবাবপত্রও কয়েকদিনের মধ্যে চলে আসবে। সামনের মাস থেকেই যুব আবাসটির বুকিং শুরু হয়ে যাবে। অন্যদিকে, দুর্গাপুর যুব আবাসের কাজও সম্পন্ন হয়ে গিয়েছে। জলের সংযোগ দেওয়ার কাজ দুর্গাপুর কর্পোরেশন করলেই সেটিও শুরু করা যেতে পারে।
দুর্গাপুরের মেয়র দিলীপ অগস্তি বলেন, জেলাশাসকের সঙ্গে এবিষয়ে কথা রয়েছে। আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বলেছি, যাতে দ্রুত জলের সমস্যা মিটে যায়।
অন্যদিকে, দুর্গাপুর ব্যারেজে পিকনিক করতে এলেও প্লাস্টিক ব্যবহার যে কোন মতেই মেনে নেওয়া হবে না, সেই বিষয়টি স্পষ্ট করেছেন দুর্গাপুরের মহকুমা শাসক অনির্বাণ কোলে।
পশ্চিম বর্ধমান জেলা শিল্পাঞ্চলের জন্য যথেষ্ট খ্যাতি রয়েছে। এমনকী মাটির নীচেই রয়েছে ‘কালো হীরে’ কয়লা। তাই রাজ্যের অর্থনীতির মানচিত্রে এই জেলার অপরিসীম গুরুত্ব থাকলেও পর্যটন মানচিত্রে এই জেলার গুরুত্ব তেমন নেই। এখানে নেই বীরভূমের মতো বহু সতীপীঠ বা পুরুলিয়া ঝাড়গ্রামের মতো পলাশের জঙ্গল। তবে জেলার মান বাঁচিয়েছে মাইথন। সবে ধন নীলমণি সেই পর্যটন ক্ষেত্রই রয়েছে যার টানে বাইরে থেকে প্রকৃতিপ্রেমিক পর্যটকরা এখানে আসেন। তবে এখনও সেভাবে থাকা খাওয়ার সুবন্দোবস্ত গড়ে ওঠেনি মাইথনে। রাজ্য সরকারের একটি ট্যুরিস্ট লজ চালু থাকলেও তা এখানকার পর্যটকদের আনাগোনার নিরিখে পর্যাপ্ত নয়। এছাড়া রাজ্য সরকারের একটি যুব আবাস ছিল। যা সংস্কারের জন্য দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল। তাই পর্যটকদের থাকা খাওয়ার ভীষণ অসুবিধা হতো। তবে অবশেষে খুলছে যুব আবাস। শীতের মরশুমে পাহাড়, জলাধারে ভ্রমণে আসা পর্যটকদের কাছে যা অত্যন্ত সুখবর।
জানা গিয়েছে, পূর্তদপ্তর যুবদপ্তরকে এটি হস্তান্তর করে দিয়েছে। কলকাতা থেকে বুধবার এই আবাসের জন্য প্রয়োজনীয় আসবাবও পাঠানো হয়েছে। যা কিছুদিনের মধ্যেই প্রতি রুমে পৌঁছে যাবে। তারপরেই শুরু হয়ে যাবে বুকিং। ১৪টি দ্বিশয্যার রুমের পাশাপাশি থাকছে ৬ শয্যা ও ৭ শয্যা বিশিষ্ট দু’টি ডরমেটরিও। তবে জল সঙ্কট কাটলে দুর্গাপুর ব্যারেজ লাগোয়া চারতলা ৯৭ রুমের বিশাল যুব আবাসটির বুকিং শুরু হলে পিকনিকের মরশুমে ভালো সাড়া পাওয়া যাবে বলে আশা দপ্তরের।