উপার্জন বেশ ভালো হলেও ব্যয়বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। শরীর খুব একটা ... বিশদ
এদিন তিনি বহরমপুরে প্রশাসনিক বৈঠক থেকে ঘোষণা করেন, সাগরদিঘির বাহালনগরে বাসস্ট্যান্ড হবে। সেখানে নিহতদের ছবি থাকবে। তারজন্য তিনি দপ্তরের আধিকারিকদের ব্যবস্থা নিতে বলেন। বাহালনগরের পাশ দিয়েই চলে গিয়েছে জাতীয় সড়ক। তাই স্থানীয়দের দাবি, এখানে বাসস্ট্যান্ড হলে সবার সুবিধা হবে। গ্রামের রাস্তাও সংস্কার করে দেওয়া হয়েছে। জঙ্গিদের হাত থেকে কোনও রকমে রক্ষা পেয়েছেন এই গ্রামের জাহিরুল সরকার। তাঁর হাতে গুলি লেগেছিল। গুলিবিদ্ধ হয়ে শ্রীনগর হাসপাতালে ভর্তি থাকার পর তিনি কয়েক দিন আগে গ্রামে ফিরেছেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, তাঁকে ১ লক্ষ টাকা দেওয়া হবে। এছাড়া বাড়ি তৈরি করে দেওয়া হবে। গুলিতে নিহত অন্যান্যদেরও বাড়ি করে দেওয়া হবে। এছাড়া সমর্থন প্রকল্পে ৫০হাজার টাকা দেওয়া হবে।
জাহিরুলের স্ত্রী পারমিতা বিবি বলেন, রাজ্য সরকার প্রথম দিন থেকেই আমাদের পাশে রয়েছে। তাদের সহযোগিতা ছাড়া স্বামীকে ঘরে আনতে পারতাম না। কিন্তু খোদ মুখ্যমন্ত্রী গ্রামে আসবে বলে কোনও দিন ভাবতে পারিনি। গ্রামের যুবক আবু সরকার বলেন, রাজ্য সরকার পাশে না থাকলে কী হতো কে জানে। আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস ছিল দিদি একবার গ্রামে আসবেন। সেটাই হলো। মুখ্যমন্ত্রী সাগরদিঘির সভা থেকে বলেন, আমাদের রাজ্যেও অনেকেই কাজের জন্য আসেন। কাশ্মীরে পাঁচজনকে জঙ্গিরা নির্মমভাবে খুন করেছে। সেখানে থাকা অন্যান্য শ্রমিকদেরও আমরা ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করেছিলাম। ট্রেনের টিকিট কেটে দিয়েছিলাম। শুধু তাই নয়, প্রত্যেককে নিজের নিজের জেলায় রেখে আসাও হয়েছিল। গ্রামের এক যুবক বলেন, এত বড় ঘটনার পর কেন্দ্রীয় সরকার কোনও খোঁজ নেয়নি। কোনওরকম সহযোগিতা করা তো দূর, গ্রামে আসার সৌজন্যও তারা দেখায়নি। এমনকী ওদের সংসদ সদস্য মৃতদের বাঙালি বলতেও রাজি ছিলেন না। কিন্তু রাজ্য সরকার সবরকম সহযোগিতা করেছে।
প্রসঙ্গত, কাশ্মীরে সাগরদিঘির পাঁচ শ্রমিকের মৃত্যুর পর অন্যান্যদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তাঁদেরকে রাজ্য সরকার নিজেদের উদ্যোগে ফিরিয়ে আনে। তাঁরা যাতে এই রাজ্যে থেকেই কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পারে তারও বন্দোবস্ত করা হচ্ছে। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁদেরকে সারা বছর কাজ দেওয়ার জন্য ম্যাঙ্গো পার্ক, আপেল বাগান তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এখানকার যুবকরা কাশ্মীরে এই সময় গিয়ে আপেল বাগানে কাজ করতেন। তাঁদের সেই অভিজ্ঞতা জেলা প্রশাসন কাজে লাগাতে চাইছে। এদিন মুখ্যমন্ত্রী সভা শেষ করে বাহালনগরে যান। তাঁর সঙ্গে জেলাশাসক জগদীশপ্রসাদ মিনা এবং পুলিস সুপার মুকেশ কুমারও গিয়েছিলেন। বেশ কিছুক্ষণ ধরে নিহতদের পরিবারের লোকজনদের সঙ্গে কথা বলে মুখ্যমন্ত্রী বহরমপুরে ফেরেন।