উপার্জন বেশ ভালো হলেও ব্যয়বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। শরীর খুব একটা ... বিশদ
জোড়াম গ্রামের বাসিন্দারা এই প্রকল্পের কথা জানতেন না। ওই দিন রাতে জোড়াম গ্রামে যান ঝাড়গ্রাম জেলার শ্রমদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত ডেপুটি লেবার কমিশনার বিতান দে, ঝাড়গ্রাম জেলার সহকারী শ্রম কমিশনার সৌম্যনীল সরকার, বেলপাহাড়ি ব্লকের শ্রমদপ্তরের ইন্সপেক্টর শ্যামল সিংহ সহ অন্যান্যরা। বাড়ি বাড়ি গিয়ে অফিসাররা জানতে চান, শ্রমদপ্তরের ভবিষ্যৎনিধি প্রকল্পে প্রতি মাসে ২৫ টাকা জমা দিতে পারবেন কি না? বিষয়টি তাঁরা জানেন কি না? গ্রামবাসীরা জানান, এ ব্যাপারে তাঁরা কিছুই জানেন না। ঘরের বারান্দায় বসে শালপাতা সেলাই করছিলেন শান্তি শবর। অফিসাররা সামাজিক সুরক্ষা স্কিমের বিষয়ে জানেন কি না জিজ্ঞাসা করতেই কিছুই জানেন না বলে জানান তিনি। সারা গ্রামে ঘুরে আধিকারিকরা দেখেন কেউ সরকারি এই স্কিমের কথা জানে না। তবে দরিদ্র হলেও অনেকেই প্রতি মাসে ২৫ টাকা দিতে রাজি আছেন। রাতে আধিকারিকরা গ্রামবাসীদের সঙ্গে মাংস-ভাত খেয়ে জোড়াম স্কুলের সামনে হাজির হন। বিতানবাবু বলেন, দিনের বেলায় মানুষজন কাজে চলে যান। রাতে গ্রামে এলে সবাইকে একসঙ্গে পাওয়া যায়। তাই আমরা প্রত্যন্ত এই এলাকায় এসেছি। আর সামাজিক সুরক্ষা যোজনা স্কিম এই মানুষগুলির জন্য বেশি করে প্রয়োজন। তাহলেই এই স্কিমের সার্থকতা আসবে।
ঝাড়গ্রাম জেলার সহকারী শ্রম কমিশনার সৌম্যনীল সরকার বলেন, জোড়াম গ্রামে ৭২জনের নাম আমরা নথিভুক্ত করি। গ্রামের মানুষজন যেভাবে সাড়া দিয়েছেন, তাতে আমরা আশা করছি, ওই গ্রামের আরও অনেকে এই স্কিমের আওতায় আসবেন। এদিন নয়াগ্রাম ব্লকের বড়খাগড়ি গ্রামেও লোধা-শবর পরিবারগুলির নাম এই প্রকল্পে নথিভুক্ত করা হয়।