বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৫ নভেম্বর ওই এলাকা বড়িরায় বড়সড় ধস নামে। অসমর্থিত সূত্রে খবর, ভিন রাজ্যের বেশ কয়েকজন শ্রমিক চাপাও পড়ে যায়। যদিও পুলিস সেই ঘটনা স্বীকার করেনি। এরপরেই ব্যবসায়ীর গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। সাম্প্রতিককালে পরপর এধরনের ঘটনায় এলাকার নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। তার পাশাপাশি অবৈধ কারবারের পর্দা অনেকটাই ফাঁস করেছে। যদিও বিষয়গুলি নিয়ে নীরবতা ভাঙেনি পুলিস।
বিসিসিএলের ছাঁচ ভিক্টোরিয়া এরিয়া(১২) জেনারেল ম্যানেজার সিদ্ধার্থ শঙ্কর দাস বলেন, কিছুদিনের মধ্যেই আমাদের অধীনে থাকা দামাগড়িয়া কোলিয়ারি থেকে বৈধভাবে কয়লা উত্তোলন শুরু হবে। কিন্তু ওই এলাকায় ব্যাপকভাবে অবৈধ খনন চলছে। বিষয়টি নিয়ে পুজোর আগেই আমরা পুলিস কমিশনার সহ উচ্চপদস্থ পুলিস আধিকারিকদের লিখিত অভিযোগ দিয়েছিলাম।
এনিয়ে পুলিস কমিশনার দেবেন্দ্র প্রকাশ সিংহকে ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি। হোয়াটস অ্যাপে মেসেজ করেও উত্তর মেলেনি।
আসানসোল সহ পশ্চিম বর্ধমানের কয়লা খনি পূর্ব ভারতের অর্থনীতির অন্যতম ভিত্তি। ইসিএল, বিসিসিএল সহ একাধিক কয়লা মন্ত্রকের সংস্থা কয়লা বিক্রি করে দেশের অর্থনীতির অক্সিজেন জোগায়। কিন্তু জেলার নানা প্রান্তজুড়ে বেপরোয়াভাবে চলতে থাকা কয়লা কারবারে নাম লিখিয়ে প্রথম থেকে কালো জগতে মিশে যাচ্ছে এলাকার যুব সমাজ। এনিয়ে পুলিস-প্রশাসন বা রাজনৈতিক মহল কারও খুব বেশি মাথাব্যথা নেই। তাই বেনিয়মই খনি অঞ্চলে নিয়মে পরিণত হয়েছে। পরিস্থিতি কতটা খারাপ তা বিসিসিএলের চিঠি থেকেই পরিষ্কার। ওই চিঠিতে তারা জানিয়েছে, দামাগড়িয়া কোলিয়ারি থেকে কয়লা উত্তোলনের জন্য টেন্ডার ডাকা হয়েছে। শীঘ্রই সেখান থেকে বৈধভাবে কয়লা উত্তোলন শুরু হবে। সেখানকার চাপতোড়িয়া, বড়িরা সহ একাধিক প্যাচে ওপেন কাস্ট প্রজেক্টে কয়লা উত্তোলন করা হবে। কিন্তু ওইসব এলাকায় ব্যাপকভাবে অবৈধ কয়লা উত্তোলন চলছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অবৈধ কয়লা কারবারিদের তিনটি গ্রুপ এখানে অবৈধ খননের সঙ্গে যুক্ত। তারা ঝাড়খণ্ড থেকে শ্রমিক এনে কয়লা খনন করাচ্ছে। যা লরিতে বোঝাই হয়ে গন্তব্যে চলে যাচ্ছে। যদিও এনিয়ে বিসিসিএলের চিঠির পরেও চলছে কারবার। এমনকী ১৫ নভেম্বর বড়িরা এলাকায় একটি বড় ধস নামারও অভিযোগ ওঠে। কিন্তু খাতায় কলমে কেউ তা স্বীকার করেনি। সাম্প্রতিক নানা ঘটনায় কুলটির পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল হচ্ছে।