বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
রামপুরহাট পুরসভার মধ্যে রয়েছে মোট ১৮টি ওয়ার্ড। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, মূলত অপরিষ্কার নালা ও আবর্জনাই রামপুরহাটে মশার আঁতুড়ঘর বলে পরিচিত। মশার হাত থেকে বাঁচতে অনেক বাড়ির জানালাতেই জাল লাগানো রয়েছে। হালকা ঠান্ডা পড়লেও মশার উৎপাতে নাজহাল সবাই। বর্তমানে প্রায় প্রতিটি ওর্য়াডেই জমে রয়েছে কমবেশি আবর্জনা। নিয়মিত নালাও পরিষ্কার হয় না বলে অভিযোগ।
শহরের বাসিন্দা সুমন রায়ের দাবি, মশার কারণে অন্ধকার নামার পরে খোলা জায়গায় বসে থাকা দায় হয়ে উঠেছে। বাড়িতেও মশা মারার ওষুধ ব্যবহার করতে হয়। বাসিন্দাদের আশঙ্কা, মশার উপদ্রব কমানোর জন্য যদি এখনই সতর্ক না হওয়া যায়, তাহলে এখানেও ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দিতে পারে। হাসপাতাল সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই এই শহরের এক ব্যক্তির রক্তে ডেঙ্গুর জীবাণু মিলেছে।
যদিও রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক(ডেপুটি ২) ডাঃ স্বপনকুমার ওঝা বলেন, ওই ব্যক্তি বাইরে থেকে ডেঙ্গুর জীবাণু নিয়ে এসেছিলেন। তবে জ্বরে আক্রান্তদের আমরা অ্যালাইজা পরীক্ষা করছি। পুরসভার হাসাপাতালকে আগে সতর্ক করা হয়েছিল। এখনও বলা হচ্ছে।
যদিও বিরোধীদের অভিযোগ, মাস কয়েক আগে খোলা নর্দমায় পুরসভার উদ্যোগে গাপ্পি মাছ ছাড়া হয়েছিল। যদিও তা নামকেওয়াস্তে। ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের সিপিএম কাউন্সিলার সঞ্জীব মল্লিক বলেন, নিকাশি নালা থেকে ঝোপ জঙ্গল নিয়মিত পরিষ্কার হয় না। ফলে মশার আঁতুড়ঘর হয়ে রয়েছে। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিকে বাদ দিয়ে তৃণমূলের লোকজন এখন ওয়ার্ড দেখভাল করেছেন। উন্নয়নের নামে লুট চলছে।
পুরসভার বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভাশিস চৌধুরী বলেন, পুরসভার পক্ষ থেকে একদিন ওয়ার্ডে ব্লিচিং ও কামান দাগা ছাড়া তেমন কোনও তৎপরতা লক্ষ্য করা যায়নি। মশার উপদ্রব কমানোর জন্য ধারাবাহিক কোনও কর্মসূচি নেই। ফলে শুধু এই ওয়ার্ড নয়, গোটা শহরই মশার আঁতুড়ঘরে পরিণত হয়েছে।
তবে, পুরসভার এক কর্তা বলেন, নাগরিকদেরও তো একটু সচেতন হতে হবে। ফুলগাছের টবে, ফ্রিজের পিছনে জল জমছে। সেসব নিজেদের পরিষ্কার করতে হবে। বালতিতে তিন-চার দিন ধরে জল জমিয়ে রাখলেও ক্ষতি। চেয়ারম্যান অশ্বিনী তেওয়ারি বলেন, সামনে পুরসভা ভোট। বিরোধীরা নিজেদের মতো কথা বলবে। তবে মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে ক্ষমতা অনুযায়ী কাজ করছি। কচুরি পানায় বুজে যাওয়া রেলের একটি পুকুর সংস্কার করেছি। এখন শহরের প্রধান রাস্তা ছাড়াও ওয়ার্ডের অলিগলিতে ব্লিচিং, ফগিং মেশিন থেকে ধোঁয়া দেওয়া হচ্ছে। রাসায়নিক স্প্রে করা হচ্ছে। আমরা আগে থেকেই তৎপর রয়েছি। তবে, কেউ বাইরে থেকে ডেঙ্গুর জীবাণু নিয়ে এলে আমাদের কী করার আছে।