কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
অভিযোগে ওই চিকিৎসক জানিয়েছেন, এবছরের ১৫ অক্টোবর রাতে বিহারের কিষাণগঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ পরিচয় দিয়ে এক ব্যক্তি তাঁকে ফোন করে। ২০১৯-২০ ব্যাচে এমবিবিএস কোর্সে ড্রপআউট কোটায় একটি আসন ফাঁকা রয়েছে বলে তাঁকে জানানো হয়। ছেলেকে সেই কোটায় ভর্তির জন্য রাজি হন তিনি। তাঁকে ই-মেলে ভর্তি সংক্রান্ত নথিপত্র পাঠানো হয়। অনলাইনে ভর্তির ফর্ম পূরণ করেন ওই চিকিৎসকের ছেলে। এরপর চিকিৎসককে রেজিস্ট্রেশন নম্বর ও ভর্তির বিষয়ে চিঠি পাঠানো হয়। টিউশন ফি বাবদ তাঁকে সাড়ে ৩ লক্ষ টাকা পাঠাতে বলা হয়। মেডিক্যাল কলেজের অ্যাকাউন্ট নম্বর ও আইএফএসসি কোডও পাঠানো হয়। চিকিৎসক তাঁর স্ত্রীর অ্যাকাউন্ট থেকে ওই অ্যাকাউন্ট নম্বরে টাকা পাঠান। টিউশন ফি-র বাকি সাড়ে ৩ লক্ষ টাকা তাঁকে চেকে দিতে বলা হয়।
এর দিন দু’য়েক পর ফোন করে তাঁকে বাকি টাকা চেকে না পাঠিয়ে এনইএফটি করে পাঠাতে বলা হয়। এতে চিকিৎসকের মনে সন্দেহ দেখা দেয়। খোঁজ খবর নিয়ে চিকিৎসক জানতে পারেন, যে অ্যাকাউন্টে তিনি টাকা পাঠিয়েছেন সেটি মেডিক্যাল কলেজের নয়। অ্যাকাউন্টটি একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের শিলিগুড়ি শাখায় এক ব্যক্তির নামে রয়েছে। তিনি টিউশনি ফি-র দ্বিতীয় কিস্তির টাকা সেই অ্যাকাউন্টে পাঠাতে অস্বীকার করেন। এরপর তাঁকে স্ত্রী ও ছেলেকে নিয়ে মেডিক্যাল কলেজে যেতে বলা হয়। সেখানে কলেজের অফিসে চেকে টাকা দিতে বলা হয় চিকিৎসককে। টাকা জমা পড়ার পর তাঁর ছেলেকে ভর্তি নেওয়া হবে বলে জানানো হয়। চিকিৎসক সন্দেহ দূর করতে ছেলে এবং স্ত্রীকে নিয়ে শিলিগুড়িতে যান। সেখানে গিয়ে মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ পরিচয় দেওয়া ব্যক্তিকে ফোন করেন। পরের দিনই তাঁকে কলেজে যেতে বলা হয়। এসবের মধ্যেই চিকিৎসক মেডিক্যাল কলেজের একটি ফোন নম্বর জোগাড় করেন। সেই নম্বরে কিষাণগঞ্জ মেডিক্যাল কলেজে ফোন করে তিনি জানতে পারেন, সেখান থেকে কোনও ভর্তির চিঠি দেওয়া হয়নি। অ্যাকাউন্টে কোনও টাকাও জমা পড়েনি। প্রতারিত হয়েছেন বুঝতে পেরেও ওই ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেন। ফিরে এসে তিনি পুলিসে অভিযোগ দায়ের করেছেন।