বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে মাস্টার ডিগ্রিতে ভর্তির প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া, অনলাইনে মাস্টার ডিগ্রিতে ভর্তির প্রক্রিয়া জটিল করা, মাস্টার ডিগ্রিতে আবেদন করার সময় অনেকের দু’বার করে ফি কেটে নেওয়া, কলা বিভাগের ক্লাস ঠিকমতো না হওয়া, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা ঠিকমতো না হওয়া, সঠিক সময়ে রেজাল্ট বের না হওয়া, ছাত্রছাত্রীদের থাকার হস্টেলের অবস্থা খারাপ, বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের অনুপ্রবেশ প্রভৃতি সমস্যার সমাধানের দাবিতে বৃহস্পতিবার বিকেলে কয়েকশো ছাত্রছাত্রী রাজবাটি ক্যাম্পাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কাছে স্মারকলিপি জমা দিতে গিয়েছিলেন। তখন উপাচার্য নিমাইচন্দ্র সাহা অফিসে ছিলেন না। তিনি কলকাতায় গিয়েছিলেন। তিনি না থাকায় ওই ছাত্রছাত্রীরা রাজবাটিতেই অপেক্ষা করতে থাকেন।
সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ে আসার পর ছাত্রছাত্রীরা তাঁকে সমস্যাগুলি জানান। সঙ্গে সঙ্গে বিক্ষোভও শুরু হয়। রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত বিক্ষোভ চলে। বিক্ষোভ চলাকালীন রাতেই নিজের অফিসে অসুস্থ হয়ে পড়েন উপাচার্য। বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিক্যাল অফিসার তাঁর চিকিৎসাও করেন। শুক্রবার সকাল ১০টা নাগাদ ছাত্রছাত্রীদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনাতেও বসেছিলেন। কিন্তু, ফের অসুস্থ হয়ে পড়েন। বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিক্যাল অফিসারের পরামর্শে তাঁকে সঙ্গে সঙ্গে কলকাতার ওই বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করা হয়। শুক্রবার সকালে বর্ধমান সার্কিট হাউসে এসেছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকার। সেখানে তিনি নিজেই ১৯ তারিখের কর্মসূচি জানান।
বিশ্ববিদ্যালয়ে র্যা গিংয়ের প্রশ্নে তিনি বলেন, আমি ১৯ নভেম্বর বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে আসব। ছাত্রছাত্রীদের সমস্ত বিষয় দেখা হবে। আমি যেখানেই যাই, সেখানে ছাত্রছাত্রীদের সমস্ত বিষয়ে খোঁজ নিই।
উপাচার্যের অসুস্থতা প্রসঙ্গে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার তাফাজল হোসেন বলেন, ছাত্রছাত্রীদের বিক্ষোভের জেরেই উপাচার্য অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। আমাদের মেডিক্যাল অফিসার দেখেছেন। তাঁর পরামর্শে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদিন উপাচার্যের ইলেক্ট্রো কার্ডিওগ্রাফের পরীক্ষা করানো হয়েছে। তার রিপোর্ট ভালো আসেনি।