কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
পশ্চিমবঙ্গ মিষ্টান্ন ব্যবসায়ী সমিতির নদীয়া জেলার শাখার পক্ষে তাপস দাস বলেন, এই দিনটা আমাদের তথা বাংলার খুবই আনন্দের দিন। আমরা এই দিনেই জিআই পেয়েছিলাম। আজকে এই আনন্দের দিনে আমরা সবাইকে মিষ্টি মুখ করিয়েছি। সকালে কৃষ্ণনগরের আনন্দময়ীতলার কাছে একটি মিষ্টির দোকানে মিষ্টি কিনতে গিয়েছিলেন তপন দেবনাথ। মিষ্টির দোকানে ঢুকতেই প্লেটে করে তাঁকে রসগোল্লা দিলেন দোকানদার। কিছু বুঝে ওঠার আগেই জানালেন, আজ রসগোল্লার জন্মদিন। কিছুটা থমমতই খেয়ে গিয়েছিলেন তপনবাবু। পরে যদিও সামনে পড়ে থাকা খবরের কাগজে চোখ বুলিয়ে বিষয়টি সম্পর্কে জানতে পারেন। মুখে রসগোল্লা পুরেই বললেন, বিষয়টি যে জানতাম না, তা নয়। আসলে ভুলে গিয়েছিলাম। ভালোই লাগছে। আনন্দময়ীতলাতেই বাড়ি গৃহবধূ রাজশ্রী ঘোষের। সকালে তাপসবাবুর দোকানে এসে বলেন, ওড়িশার দাবি উড়িয়ে আমাদের মিষ্টিই জয়লাভ করেছে। এই দিনটি পালিত হচ্ছে দেখে খুবই ভালো লাগছে। চকেরপাড়ার বাসিন্দা বৃদ্ধ মলয় নাথ বলেন, খুব ভালো লাগছে। নিঃসন্দেহে এটা আমাদের আনন্দের দিন।
জিআই নিয়ে রসগোল্লার লড়াই দীর্ঘদিনের। রসগোল্লা তাদের বলে দাবি করেছিল প্রতিবেশী রাজ্য ওড়িশা। তাদের আরও দাবি ছিল, যে মিষ্টি বছরের পর বছর ধরে তাঁরা জগন্নাথ দেবকে নিবেদন করছেন, সেটাই রসগোল্লা। এই লড়াই শেষ পর্যন্ত আদালত পর্যন্ত গড়ায়। শেষ অবধি জয় হয় বাংলার। ওড়িশার ভাগ্যেও অবশ্য কিছু আছে। যে মিষ্টি নিয়ে তাঁদের এত গরিমা, তাকেও ‘ওড়িশার রসগোল্লা’ বলে স্বীকৃতি দিয়েছে কেন্দ্র। মিষ্টান্ন ব্যবসায়ী তাপসবাবু বলেন, পাঁচ হাজার মতো মিষ্টি আমরা তৈরি করেছিলাম। কাউকে খালি মুখে আমরা ফিরতি দিচ্ছি না।
পশ্চিমবঙ্গ মিষ্টান্ন ব্যবসায়ী সমিতির পক্ষ থেকে জেলায় জেলায় তাঁদের সংগঠনের সদস্যদের সবাইকে মিষ্টি খাওয়ানোর কথা বলা হয়েছে। এদিন শিশু দিবস উপলক্ষে কচিকাঁচাদেরই অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে বেশি।
তবে ঘটনাচক্রে এদিন সারা বিশ্বজুড়ে পালন হচ্ছে ডায়াবেটিস দিবসও। কৃষ্ণনগর জেলা হাসপাতালে এই দিনটি পালন করা হয় স্বাস্থ্য দপ্তরের পক্ষ থেকে। চিকিৎসক’রা বলছেন, আবেগে ভেসে গেলে বিপদ বাড়বেই। খুব ইচ্ছা করলে রস চেপে বের করে একটা-দুটো খাওয়া যেতেই পারে। জেলার উপ মুখ্য স্বাস্থ আধিকারিক অসিতকুমার দেওয়ান বলেন, রসগোল্লার জন্মদিন কী না জানি না, ডায়াবেটিস দিবস আমরা পালন করেছি, এইটুকু বলতে পারি। তবে উপায় বাতলে অসিতবাবু বলেছেন, মিষ্টি খাওয়া যেতে পারে, তবে হাঁটাহাঁটি করতে হবে তারপর। ডায়াবেটিসে আক্রান্ত মিষ্টি প্রেমীরা বেজার মুখে বলেছেন, এর পিছনে কারও একটা ষড়যন্ত্র আছে!