গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
প্রসঙ্গত, এদিন সাতমাইলে বিজেপির জেলা কার্যালয়ে এই বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে কাঁথি সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অনুপ চক্রবর্তী সহ অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক চলাকালীন কয়েকশো কর্মী হাতে একগুচ্ছ অভিযোগ সংক্রান্ত প্ল্যাকার্ড নিয়ে সেখানে হাজির হন। এসেই তাঁরা বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। তাঁদের মধ্যে কয়েকজন কর্মী পার্টি অফিসে ঢুকতে গেলে বৈঠকে থাকা কর্মকর্তারা গেট আটকে দেন। এরপরই বিক্ষোভ আরও বেড়ে যায়। সেই সময় জেলা নেতাদের অনুগামীদের সঙ্গে বিক্ষুব্ধদের জোর হাতাহাতি ও ঠেলাঠেলি শুরু হয়। এভাবে বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত বিক্ষোভ চলে।
বিক্ষোভকারীরা প্রশ্ন তোলেন, কেন পুরনো কর্মীদের দূরে সরিয়ে রেখে অন্যান্য দল থেকে সদ্য আগত কর্মীদের সক্রিয় কর্মী করা হচ্ছে? কেন গোপনে দলকে শাসকদলের কাছে বিক্রি করছেন নেতাদেরই একাংশ? এমনকী, জেলা সভাপতির নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতা নেই বলে অভিযোগ তুলেও তাঁরা ক্ষোভ উগরে দেন। শেষ পর্যন্ত জেলা সভাপতি সহ অন্যান্য নেতারা বিক্ষুব্ধদের সঙ্গে কথা বলেন এবং কোনওভাবে পরিস্থিতি সামাল দেন।
অনাদি জানা নামে এক বিক্ষুব্ধ কর্মী বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমরা বিজেপি করছি। নতুন সভাপতি যিনি হয়েছেন, তিনি মণ্ডল সভাপতিদের বেচাকেনা শুরু করেছেন। আমাদের মতো কর্মীদের গুরুত্ব না দিয়ে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। নতুনদের নেওয়া হচ্ছে। যাদের রাজনীতি সম্পর্কে কোনও ধারণাই নেই। তাদেরই এনে বড় পদে বসিয়ে দেওয়া হচ্ছে। গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব তৈরি করা হচ্ছে। তার জন্যই আমরা এই বিক্ষোভ কর্মসূচি গ্রহণ করেছিলাম।
জেলা সভাপতি বলেন, বিজেপি রাষ্ট্রীয় দল। তাদের সাংগঠনিক কাঠামো সম্পর্কে সকলের সমান ধারণা নেই। সেই কারণে হয়তো একটা অংশের মধ্যে ক্ষোভ-বিক্ষোভ তৈরি হতে পারে। তবে হাতাহাতি কিংবা ঠেলাঠেলির ঘটনাটি অনভিপ্রেত। আসলে অনেকে একসঙ্গে ঢুকে পড়লে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হবে বলেই গেট ভেতর থেকে আটকে দেওয়া হয়েছিল।
এব্যাপারে অনুপবাবু বলেন, সেরকম কোনও ব্যাপার নেই। সাংগঠনিক কাঠামো অনুযায়ী যাঁর যেমন যোগ্যতা, তাঁকে সেভাবেই গুরুত্ব দেওয়া হয়। তবে আমরা গণ্ডগোলের বিষয়টি বসে আলোচনা করে মিটিয়ে নেব।