কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
প্রত্যেক রাজনৈতিক দল এই ভোট পাওয়ার চেষ্টা করছে। বিগত বিধানসভা কিংবা লোকসভা ভোটের মতো বেশি সংখ্যায় প্রার্থী নেই এবারের উপনির্বাচনে। বিগত দিনের প্রার্থী তালিকার তুলনায় নামের লিস্ট যথেষ্ট ছোট হয়েছে এই উপনির্বাচনে। এবার উপনির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করা প্রার্থীদের একটা অংশের ভোট কোন দিকে যাবে, তাই নিয়ে ভোটারদের মধ্যে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। এবারের প্রার্থী তালিকায় করিমপুর বিধানসভা উপনির্বাচনের একটু অন্যরকম চিত্র দেখা গেল।
গত সোমবার প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন পেরিয়ে যাওয়ার পর জানা গিয়েছে চার প্রার্থী এবারের ভোটে লড়ছেন। আগের বিধানসভা ও লোকসভার ভোটগুলিতে প্রধান প্রতিপক্ষরা ছাড়াও জাতীয় কিংবা রাজ্যস্তরের বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল ভোটে লড়ার জন্য প্রার্থী দিতেন। এমনকী কয়েকজন নির্দল প্রার্থীও ভোটে লড়তে মনোনয়ন পেশ করতেন। ভোট ঘোষণা হওয়ার পর গত ৪ নভেম্বর তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে সর্বপ্রথম বিমলেন্দু সিংহরায় মনোনয়নপত্র জমা দেন। ৫ নভেম্বর প্রথমে সিপিএম কংগ্রেস জোটের প্রার্থী গোলাম রাব্বি মনোনয়ন জমা দেন। তারপর বিজেপি প্রার্থী জয়প্রকাশ মজুমদার মনোনয়ন জমা দেন। তবে তারপর আর একটি রেজিস্টার্ড রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে একজন নমিনেশন দাখিল করেন। তেহট্ট মহকুমা তথ্য সংস্কৃতি আধিকারিক সুবীর সরকার বলেন, সোমবার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের সময় পেরিয়ে যাওয়ার পর তৃণমূল, বিজেপি, সিপিএম ও একটি রেজিস্টার্ড রাজনৈতিক দল থেকে এক জন মোট চারজন এবারের ভোটে লড়ছেন।
এবারে কম সংখ্যক প্রার্থী মনোনয়ন জমা দেওয়ায় এলাকায় জোর চর্চা শুরু হয়েছে। বিগত নির্বাচনগুলিতে দেখা গিয়েছে, নির্দল প্রার্থী ও অন্যান্য প্রার্থী মিলিত ভোটের যোগফল হয় প্রায় দশ হাজার। এবারে সেই ভোট কোন দিকে যাবে সেটা নিয়েই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চর্চা। ২০১১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে সিপিএম, তৃণমূল ও বিজেপি ছাড়াও আরও পাঁচ প্রার্থী মনোনয়ন দাখিল করেছিল। ওই বছরে সমরেন্দ্রনাথ ঘোষ ৫০৮৫ ভোটে তৃণমূলের রমেন্দ্রনাথ সরকারকে পরাজিত করেছিলেন। আর প্রধান তিন দল ছাড়া অন্যান্য দলগুলির মিলিত ভোটের সংখ্যা ছিল ৯৮৬০। আবার ২০১৬ সালে তৃণমূল, সিপিএম ও বিজেপি ছাড়াও ছয় প্রার্থী নমিনেশন দাখিল করেছিল। সেবারে তৃণমূলের মহুয়া মৈত্র ১৫৯৯৮ ভোটে সিপিএমের সমরেন্দ্রনাথ ঘোষকে পরাজিত করেছিলেন। এই ক্ষেত্রেও দেখা গিয়েছিল অন্যান্য প্রার্থীদের মিলিত ভোট ছিল ১১৮১৫। আবার মুর্শিদাবাদ লোকসভা নির্বাচনে মোট ১১ জন প্রার্থী ভোটে দাঁড়িয়ে ছিলেন। তাই এবারের করিমপুরের বিধানসভা উপনির্বাচনে ভোটারদের কম বেশি পরিচিত তিনটি দল ছাড়া মাত্র আর একটি নমিনেশন জমা পড়েছে। সেক্ষেত্রে বরাবরের মতো এবারে তাদের মিলিত মার্জিনাল ভোট কোন দিকে পড়বে সেটা নিয়েই চর্চা শুরু হয়েছে। অবশেষে ভোটের ফলাফলেই শেষ কথা বলবে।