কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
২০০১–’০২সালে তৎকালীন বামফ্রন্ট সরকার শিবপুর মৌজায় শিল্প করার জন্য প্রায় ৩০০একর জমি অধিগ্রহণ করে। পালাবদলের পর সেই জমিতে হবে গীতবিতান আবাসন ও বিশ্ববাংলা বিশ্ববিদ্যালয় করার কথা ঘোষণার পরই প্রতিবাদে ফেটে পড়েন জমিদাতা চাষিরা। তাঁরা দাবি জানাতে থাকেন, শিল্পের জন্য অধিগৃহীত জমিতে শিল্পই করতে হবে, নচেৎ জমি ফেরত দিতে হবে। এই দাবি নিয়ে আন্দোলন শুরু হয়েছে অনিচ্ছুক চাষিদের। অনিচ্ছুক চাষিদের দাবি, শিবপুর জমি সংক্রান্ত মামলায় আদালত স্থগিতাদেশ দিয়েছে নির্মাণের ক্ষেত্রে। কিন্তু, শাসকদল গায়ের জোরে আদালতের স্থগিতাদেশ অগ্রাহ্য করে জমিতে নির্মাণকাজ করছে।
মঙ্গলবার সকাল ১১টা নাগাদ অনিচ্ছুক জমিদাতা চাষিরা বোলপুর সিনেমাতলা মোড়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি শুরু করেন। পরে সেখানে প্রতীকী পথ অবরোধ করা হয়। চাষিদের কাছ থেকে জানা গিয়েছে, এদিনের বিক্ষোভ আন্দোলনের মূল উদ্দেশ্য বোলপুর সহ পার্শ্ববর্তী এলাকার সকল মানুষকে তাঁদের উপর যে অন্যায় করা হচ্ছে সেই বিষয়ে অবগত করা। এদিন বিক্ষোভস্থল থেকে সাধারণ মানুষের উদ্দেশে শিবপুরের জমির সমস্ত বিষয় জানিয়ে লিফলেটও বিলি করা হয়।
জমিদাতা অনিচ্ছুক চাষি কুদ্দুস মোল্লা বলেন, শিল্প করার জন্য জমি নেওয়া হয়েছিল। শিল্প হলে কর্মসংস্থান হতো। কিন্তু, আবাসন হলে তা হবে না। তাই আমরা চাই জমিতে শিল্প হোক, নয়তো আমাদের জমি আমাদের ফিরিয়ে দেওয়া হোক। আমরা ফের তাতে চাষ করে জীবনযাপন করব।
শিবপুর মৌজা কৃষক সংগ্রাম মঞ্চের আহ্বায়ক তপন সাহা বলেন, শিল্পের জন্য জমি অধিগ্রহণ করা হলেও শিল্প না হয়ে কোথাও আবাসন, কোথাও বিশ্ববিদ্যালয়, কখনো আবার মেলা হচ্ছে। জমি ফেরত চেয়ে আদালতে মামলা করা হলে সেখান থেকে জমির উপর নির্মাণকাজে স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু, তাও প্রশাসনের নাকের ডগায় জোরকদমে কাজ চলছে।