বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
বিষ্ণুপুর মেলা কমিটির সচিব তথা মহকুমা শাসক মানস মণ্ডল বলেন, বিষ্ণুপুরে অপরিচিত অনেক প্রাচীন মন্দির রয়েছে। সেগুলির প্রচারের জন্য এবার ওইসব মন্দির প্রাঙ্গণে শিল্পীদের অডিশনের আয়োজন করা হবে। বাঁকুড়া জেলা পরিষদ সহ পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পর্যটন, ক্ষুদ্র ও ছোট উদ্যোগ এবং বস্ত্র বিভাগ, তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তর, আদিবাসী উন্নয়ন, স্বনির্ভর গোষ্ঠী ও স্বনিযুক্তি, পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন, শিশু, নারী ও সমাজ কল্যাণ, পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদ, জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি, শ্রম, পরিবহণ প্রভৃতি দপ্তরের পৃষ্ঠপোষকতায় মেলা পরিচালনা হবে।
মেলা কমিটির সভাপতি শ্যামাপ্রসাদবাবু বলেন, এবারের মেলায় লোকশিল্পী ও হস্তশিল্পকে প্রাধান্য দেওয়া হবে। বিষ্ণুপুরের বালুচরি, পোড়ামাটি, পাথর, দশাবতার তাস, পটচিত্র, রেশম শিল্প থেকে শুরু করে শঙ্খ, লণ্ঠন, কাঁসা প্রভৃতি হস্তশিল্পের জন্য পৃথক হাব করা হবে। কুটির শিল্পীদের জন্য ৬৪টি, তাঁত ও বস্ত্র শিল্পীদের জন্য ১০টি, অন্যান্য সরকারি ও বেসরকারি দপ্তরের জন্য ১৫টি, বিভিন্ন জেলার ১০টি এবং ‘বাংলার মুখ’ সহ সব মিলিয়ে মোট ১২০টি স্টল তৈরি হবে। পাঁচদিন বিচিত্রানুষ্ঠানে বিভিন্ন নামি ব্যান্ড ও খ্যাতনামা শিল্পীরা থাকবেন।
কমিটি সূত্রে জানা গিয়েছে, অন্যান্য বার বিষ্ণুপুর মেলায় আসার জন্য যানবাহন ঢোকা নিয়ে সমস্যা তৈরি হয়। তাই এবার একমাস আগে থেকে মেলায় আসার রুটচার্ট প্রকাশ করা হবে। মেলার চারটি প্রধান রুট একমুখী করা হবে। বিবেকানন্দ স্কুলের আগে পর্যন্ত দু’চাকার যান যেতে পারবে। তিলবাড়ি পর্যন্ত দু’চাকার যান চলবে। রাসমঞ্চ প্রাঙ্গণ পর্যন্ত চার চাকা গাড়ি যেতে পারবে। অন্যদিকে লালবাঁধের পাড় পর্যন্ত চারচাকা প্রবেশ করতে পারবে। মেলার আগে নির্দিষ্ট স্থান পর্যন্ত টোটো ও অটো চলাচল করলেও কোনও ভ্যানো প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। বয়স্কদের জন্য হুইল চেয়ারের বন্দোবস্ত করা হবে। মেলার রাস্তায় কোনও দোকান বসতে দেওয়া হবে না। পর্যটকরা যাতে বিষ্ণুপুরে এসে হ্যান্ডিক্রাফটের জিনিস কিনতে পারেন, তার জন্য পৃথক জোন তৈরি করা হবে।
মহকুমা শাসক বলেন, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের জন্য ইতিমধ্যে অনলাইনে অডিশনের আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের জন্য মল্লেশ্বর ভট্টাচার্য পাড়ায় রামশঙ্কর মঞ্চে ও লালবাঁধে ভাসমান মঞ্চে, আধুনিক ও অন্যান্য সঙ্গীতের জন্য মুরলীমোহন মন্দির ও মদনমোহন মন্দির প্রাঙ্গণে, একক নৃত্যে শ্যামরাই মন্দিরে, যোগ ব্যায়াম, দলগত নৃত্য ও যন্ত্র সঙ্গীত পোড়ামাটির হাটে, আবৃত্তি লালজিউ মন্দিরে, মুখাভিনয়ের অডিশন মৃন্ময়ী মন্দির প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া ছোট নাটক ও প্রাক মেলা যাত্রা প্রতিযোগিতা হবে শহরের যদুভট্ট মঞ্চে।