পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
এডিসিপি (পশ্চিম) অনমিত্র দাস বলেন, একটি খুনের অভিযোগ দায়ের হয়েছে। দেহ ময়নাতদন্ত করানো হয়েছে। পুলিস কুকুর দিয়ে তদন্তও হয়েছে। ঘটনা নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এখনও কাউকে আটক বা গ্রেপ্তার করা হয়নি। সমস্তকিছু খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দু’মাস আগেই হীরাপুর থানার নতুনডি এলাকায় এক কৃষককে গুলি করে খুনের ঘটনায় আসানসোলজুড়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের খুন হল। ওই এলাকার অদূরে থাকা একটি দেশি মদের দোকানে এই ঘটনা ঘটেছে। পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দোকানের নৈশপ্রহরীর দায়িত্বে থাকা রবি দোকানের পাশেই একটি খাটিয়াতে রাতে থাকতেন। দোকানের মালিকের দাবি, সকালে তাঁকে উঠতে না দেখে চাদর সরাতেই দেখা যায়, মৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন। এরপরেই এলাকায় তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। কে বা কারা খুন করল তা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়। দোকানের মালিক পক্ষের তরফে জানা যায়, ক্যাশ বাক্স থেকে কিছু টাকা ও কয়েকটি মদের বোতল খোয়া গিয়েছে। তাহলে কি চুরির উদ্দেশ্যে এসে বাধা দেওয়ায় খুন হলেন রবি? সেই সন্দেহও ক্রমশ জোরালো হচ্ছে। যদিও খুনের পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে কি না সেই দিকটিও উঠে আসছে।
এদিকে, এদিন মৃত্যুর ঘটনার পরই পরিস্থিতি ক্রমশ ঘোরালো হতে শুরু করে। মৃত্যুর খবর পৌঁছে যায় আদিবাসী মহল্লাতেও। স্থানীয় ভালুকজোড় এলাকার বাসিন্দা রবির এক নাবালক পুত্র, কলেজে পড়া মেয়ে এবং স্ত্রী রয়েছে। পরিবারের একমাত্র রোজগেরে সদস্যের মৃত্যু হওয়ায় পরিবার ভেসে যাবে, এই আশঙ্কা থেকে আন্দোলনে নামেন আদিবাসীরা। তাঁরা বেশ কয়েক মাসের বেতন ও এককালীন ক্ষতিপূরণের দাবি জানান। এনিয়ে বিক্ষোভও শুরু হয় এলাকায়। পরিস্থিতি জটিল হতে শুরু করে। হীরাপুর থানার ওসি সৌমেন্দ্রনাথ সিংহ সহ উচ্চপদস্থ অন্যান্য পুলিস অফিসাররা ঘটনাস্থলে আসেন। দোকানের মালিক পক্ষ ২ লক্ষ টাকা এককালীন ক্ষতিপূরণ ও ১৫ মাসের বেতন দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলে আদিবাসীরা আন্দোলন থেকে সরে আসেন। মৃতের ছেলে থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিস দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। হাসপাতাল সূত্রেও জানা গিয়েছে, গলায় কোনও দড়ি বা তার জাতীয় কোনও জিনিস দিয়ে পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে অনুমান। কিন্তু খুনের কারণ নিয়ে যথেষ্ট ধোঁয়াশা রয়েছে। এছাড়া এই ঘটনার পর ওই এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। একেবারে পাশাপাশি দুই এলাকায় কয়েক মাসের ব্যবধানে জোড়া খুনের ঘটনা পুলিসের মাথাতেও চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে।