উচ্চতর বিদ্যায় সাফল্য আসবে। প্রেম-ভালোবাসায় আগ্রহ বাড়বে। পুরনো বন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাতে আনন্দলাভ হবে। সম্ভাব্য ক্ষেত্রে ... বিশদ
শ্রীবাস অঙ্গন রোডের সমাজবাড়ির সেবাইত জনকদাস বাবাজি মহারাজ বলেন, পুরীর ঝাঁঝপীঠ মন্দির থেকে এই উৎসবের সূচনা হয়। পরবর্তীকালে নবদ্বীপে সমাজবাড়ি তৈরি হলে এখানেও রাসলীলা অনুষ্ঠিত হয়। রাস পূর্ণিমার দিন সারারাত অনুষ্ঠিত হয় রাসলীলা। এই অনুষ্ঠানে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে ভিড় জমান বহিরাগতরা।
নবদ্বীপের প্রখ্যাত পণ্ডিত ব্রজনাথ বিদ্যারত্নের পৌত্র শীতিকণ্ঠ ভট্টাচার্যের আমলে আনুমানিক ১৯১০ সালে প্রথম চক্ররাস হয়। প্রাচীন মায়াপুর জগন্নাথ মন্দিরেও চক্ররাস হয়। বর্তমানে এই রাস বারোয়ারি কমিটি দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে। ব্রজনন্দ গোস্বামী রোডের গোড়াচাঁদ আখড়ায় পরবর্তীকালে শুরু হয় এই চক্ররাস।
রানিরচড়া শ্রীকৃষ্ণ চৈতন্য মিশন রাধারানির মন্দির নামে খ্যাত। এখানে দুর্গাপুজোর দশমীর পরদিন অর্থাৎ একাদশীর দিন থেকে রাস পূর্ণিমা পর্যন্ত চলে কীর্তন, পাঠ, লীলাকীর্তন প্রভৃতি অনুষ্ঠান হয়। রাস পূর্ণিমার দিন রাসলীলা ও নগর সংকীর্তনের মাধ্যমে শেষ হয় এই অনুষ্ঠান। দেশ বিদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এসে ভিড় জমান ভক্তরা।
বড় আখড়া, মহাপ্রভুর বাড়ি, ইসকন- চন্দ্রদয় মন্দির সহ বিভিন্ন জায়গায় বৈষ্ণব রাস অনুষ্ঠিত হয়। যা দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে দর্শনার্থীরা ভিড় জমান। বড়ালঘাট মণিপুর রোড, উডবার্ন রোড, প্রাণগোপালনগর উৎসাহী সঙ্ঘ মহাপ্রভুপুজো করে। এছাড়া, বৈষ্ণবধারায় বিভিন্ন বারোয়ারি মূর্তি পূজিত হয়। যেমন- পার্থসারথি, যুগলমিলন, শ্রীকৃষ্ণের বিশ্বরূপ দর্শন, ভক্তের ভগবান প্রমুখ।