বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
প্রসঙ্গত, গত সাত নভেম্বর থেকেই গুটখা, পান মশলার বিক্রি নিষিদ্ধ করেছে রাজ্য সরকার। কিন্তু ঠিকমতো প্রচার না হওয়ায় সেই বার্তা সম্পর্কে এখনও অনেককেই ওয়াকিবহাল নয়। তাই প্রকাশ্যে বিভিন্ন জায়গায় গুটখা ঝুলতে দেখা গিয়েছে। তারপর শুধু সদর মোড় নয়, গোটা কৃষ্ণনগর শহরে প্রাকাশ্যেই বিক্রি হতে দেখা যাচ্ছে গুটখা, পান মশলা। তবে সরকারি নির্দেশিকা জারি হলেও তার কোনও প্রচার নেই। নেই অভিযানও। ফলে সর্বত্রই এইসব সামগ্রী বিক্রি হচ্ছে। নিষেধাজ্ঞা নিয়ে এখনও দ্বন্দ্বে রয়েছে ব্যবসায়ী মহল।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, অনেকেই ভেবেছিল কৃষ্ণনগরে জগদ্ধাত্রী পুজো শেষে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর অন্তত অভিযানে নামবে। কারণ, পুজোর সময় অনেক ব্যবসায়ীই অতিরিক্ত জিনিসপত্র মজুত করেছে। ফলে মানবিকতার খাতিরে পুজোর সময়টা হয়তো অভিযান বাদ দেওয়া হয়েছে। পুজো মিটলেই অভিযানে নামবে জেলা প্রশাসন বা স্বাস্থ্য দপ্তর। এমনটা আশা করেছিলেন অনেকেই। কিন্তু এনিয়ে কারও কোনও হেলদোলই নেই।
শহরের এক ব্যবসায়ী বলেন, চায়ের দোকানের সঙ্গে পান মশলা, গুটখা বিক্রি করে কোনওরকমে সংসার চলে। পুজোর মরশুমে দোকানে প্রায় ১৫ হাজার টাকার তামাকজাত দ্রব্য মজুত করেছি। এখন মানুষের মুখে মুখে শুনতে পাচ্ছি গুটখা, পান মশলা বিক্রি করা যাবে না। কিন্তু প্রশাসনের তরফে কিছুই জানানো হচ্ছে না। আমার কী করার আছে বলুন। আর এক ব্যবসায়ী বলেন, মজুত করা গুটখা বা পানমশলা বিক্রি করতেই হবে। নইলে মহাজনের টাকা মেটাব কী দিয়ে! তবে প্রশাসন এ ব্যাপারে সতর্ক করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রশাসন খুব কড়াকড়ি হলে আর বিক্রি করব না।
কৃষ্ণনগর সদর মহকুমার ভারপ্রাপ্ত মহকুমা শাসক সৌমেন দত্ত বলেন, এ বিষয়ে যা করার স্বাস্থ্য দপ্তকেই করতে হবে। জেলার উপ মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অসিতকুমার দেওয়ানকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, স্বাস্থ্য দপ্তরের একটা দায়িত্ব আছে এটা অস্বীকার করা যায় না। এ নিয়ে এখনও অভিযানে নামা হয়নি। তবে আমরা এই সপ্তাহেই এ বিষয়ে আলোচনা করে জোরদার অভিযানে নামব।
এই উদাসীনতার জন্যই বৃহস্পতিবার থেকেই গুটখা বন্ধের নির্দেশ থাকলেও তেমন কড়াকড়ি নেই। গত কয়েক দিন রেকর্ড গুটখা বিক্রি হয়েছে বলেও জানাচ্ছেন কয়েকজন ব্যবসায়ী। কেউ কেউ কয়েক ডজন করে একসঙ্গে কিনে নিয়েছে। জেলা পুলিসের এক কর্তা বলেন, আমাদের হাতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ এসে পৌঁছলেই সেইমতো অভিযানে নামা হবে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।