রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
এ ব্যাপারে অবশ্য বীরভূম জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের চেয়ারম্যান প্রলয় নায়েক বলেন, স্কুলটির উন্নতির জন্য আমার কাছে আবেদন এলে প্রশাসন ও শিক্ষা দপ্তরের সঙ্গে কথা বলে স্বাভাবিক করার চেষ্টা করব। এই স্কুলের বিষয়টি জানা নেই।
সিউড়ির পুরন্দরপুর পঞ্চায়েতের ইন্দ্রগাছা গ্রামে ঢোকার মুখে ধানজমির মাঝে গড়ে ওঠা জুনিয়র হাইস্কুলে একটিমাত্র শ্রেণীকক্ষ রয়েছে। এছাড়া মিড ডে মিলের রান্নার জন্য ঘর হয়েছে। রয়েছে মেয়েদের শৌচাগারও। কিন্তু, মূল রাস্তা থেকে স্কুল পর্যন্ত যাওয়ার জন্য কোনও রাস্তা নেই। ধানজমির মাঝখানে রয়েছে ওই স্কুল। তাছাড়া স্কুলের চারদিকে পাঁচিল ও পানীয় জলের ব্যবস্থা হয়নি। তাই জুনিয়র হাইস্কুলের ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে সেখানে ক্লাস করা যায়নি। বাধ্য হয়ে ২০১৩ সাল থেকে ইন্দ্রগাছায় প্রাইমারি স্কুলের একটি ঘরে ক্লাস চলাতে হচ্ছে। একটি ঘরে তিনজন অতিথি শিক্ষক পৃথক শ্রেণীর ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে ক্লাস নেন।
স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, জুনিয়র হাইস্কুলটি নামকরণ করে স্থাপিত হয় ২০১৩ সালে। নির্মাণ কাজের অধিকাংশ প্রায় হয়ে গিয়েছে। কিন্তু, প্রায় দু’বছর ধরে মূল রাস্তা থেকে আলপথ পাকা হয়নি। তাছাড়া জলের ব্যবস্থাও হয়নি। দেওয়া হয়নি স্থায়ী শিক্ষকও। তাই প্রাইমারি স্কুলে দীর্ঘদিন ধরে জুনিয়র হাইস্কুলের ছাত্রছাত্রীদের পড়তে হচ্ছে। অবসারপ্রাপ্ত শিক্ষকরা পাঁচ বছরের জন্য পড়ানোর ডাক পেয়েছেন। তারজন্য তাঁরা মাসে ভাতা পান। পরিকাঠামোর অভাবে প্রতিনিয়ত জুনিয়র হাইস্কুল থেকে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা কমতে শুরু করেছে।
স্থানীয় ও স্কুল সূত্রে খবর, ইন্দ্রগাছায় সাধারণত দরিদ্র্র মানুষের বসবাস। গ্রামের ছাত্রছাত্রীরা প্রাইমারি স্কুল পাশ করেও হাইস্কুলে পড়ার সুযোগ পাচ্ছে না। বাধ্য হয়ে অনেকে ইন্দ্রগাছা থেকে প্রায় পাঁচ-ছয় কিমি দূরে পুরন্দরপুর, সাজিনা প্রভৃতি এলাকার হাইস্কুলে যেতে বাধ্য হচ্ছে। ২০১৩ সালে এই স্কুলে প্রায় ৬০ জন ছাত্রছাত্রী ছিল। বর্তমানে তা কমে ৩৯ জন হয়েছে। ইন্দ্রগাছার ওই প্রাইমারি স্কুলের একটি ঘরে পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রছাত্রীদের একসঙ্গে পড়ানো হয়। ওই শ্রেণীকক্ষের আবার দরজা, জানালাও বেহাল অবস্থায় রয়েছে। পড়ুয়াদের জন্য বেঞ্চের ব্যবস্থা নেই। মেঝেতেই ছাত্রছাত্রীদের বসতে হয়। স্কুলের এক শিক্ষক অনুকুলচন্দ্র মণ্ডল নিজস্ব উদ্যোগে একটি পাখা দিয়েছেন। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সজলকুমার সাহা, সহ শিক্ষক শচীনন্দন মণ্ডল বলেন, জুনিয়র হাইস্কুলটি চালু করার জন্য সংযোগকারী রাস্তা, জল ও অতিরিক্ত শ্রেণীকক্ষ নির্মাণের জন্য আমরা বিডিও, বিধায়কের কাছে আবেদন জানিয়েছি। স্কুলটি চালু হলে ছাত্রছাত্রীদের সংখ্যা বাড়বে। তবে, আমরা পড়ুয়াদের যথাসাধ্য পড়ানোর চেষ্টা করি। স্থানীয় বাসিন্দা নিতাই সাহা বলেন, জুনিয়র হাইস্কুলটি চালু হলে ছাত্রছাত্রীদের খুবই উপকার হবে।