গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
বৈঠকে হাসপাতালের সামগ্রিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়। বৈঠকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ, চেয়ারম্যান স্বপন দেবনাথ, পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক বিজয় ভারতী সহ সকলে উপস্থিত ছিলেন। নতুন ডায়ালিসিস ইউনিট চালু করার বিষয়ে মূলত জোর দেওয়া হয়। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০০৭ সালে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ছয় বেডের ডায়ালিসিস ইউনিট চালু হয়েছিল। পুরনো ইউনিটে তিনটি মেশিন রয়েছে। যেহেতু এই মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে সারাবছর দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলার রোগীদের চাপ থাকে, তাই নতুন ডায়ালিসিস ইউনিট তৈরি করার প্রস্তাব উঠেছিল। সেই মতো ২৫ বেডের ইউনিট তৈরি করা হয়েছে। ১৮টি অত্যাধুনিক মেশিন থাকবে। তার মধ্যে আবার দু’টি মেশিন আরও উন্নত। যেগুলি দিয়ে ‘স্লো-ডায়ালিসিস’ করা যাবে। মুমূর্ষু রোগীদের জন্য স্লো-ডায়ালিসিস করা হয়। পিপিপি মডেলে এই নতুন ইউনিট করা হয়েছে।
বৈঠক শেষে রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান স্বপন দেবনাথ বলেন, ২৫ বেডের নতুন ডায়ালিসিস ইউনিটের কাজ শেষ। আমরা মুখ্যমন্ত্রীর হাত দিয়ে উদ্বোধন করিয়ে শীঘ্রই চালু করে দেব। মুখ্যমন্ত্রী এখানে না আসতে পারলেও অন্য কোনও অনুষ্ঠান থেকে যাতে উদ্বোধন করে দেন, সেই প্রস্তাব দেওয়া হবে। এই ইউনিট চালু হলে বর্ধমান সহ দক্ষিণবঙ্গে হাজার হাজার মানুষ উপকৃত হবেন। তিনি বলেন, হাসপাতালকে পরিচ্ছন্ন রাখার দায়িত্ব আমাদের সবার। শুধু সাফাইকর্মী দিয়ে হবে না। তাই আমি চিকিৎসক, নার্স, পুলিস, ডাক্তারি পড়ুয়া সবাইকে বলেছি, সপ্তাহে একদিন করে সাফাই অভিযান করতে। এমনকী, সাংবাদিকদেরও আমন্ত্রণ জানিয়েছি, তাঁরাও যেন সাফাই অভিযানে নামেন। হাসপাতাল সবার। তাই আমাদের সবাই মিলে পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। তিনি বলেন, হাসপাতালে আরও নতুন নিরাপত্তারক্ষী নেওয়া হবে। কিন্তু, বর্তমানে যাঁরা কাজ করছেন, তাঁরা সঠিক কাজ করছেন কি না তা খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে। রোগীদের জন্য নতুন ন’টি কেবিন চালু করা হচ্ছে। সেই কাজও শেষ। শীঘ্রই ওই কেবিন চালু হবে।