বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
এদিকে সরকারি শিল্পক্ষেত্রে দলের শ্রমিক সংগঠনের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রেল, সেল, কোল সহ নানা ক্ষেত্রে সরকারের শ্রমিক বিরোধী সিদ্ধান্তগুলির প্রতিবাদ জানাতে কীভাবে তৃণমূল রাস্তায় নামবে, তার রূপরেখা ২৩সেপ্টেম্বর নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামের বৈঠক থেকে পাওয়া যাবে বলে শ্রমিক সংগঠনের নেতাদের আশা।
এএসপি, সিএলডব্লু সহ দেশের ৪২টি রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার বিলগ্নিকরণের প্রক্রিয়া নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে সমালোচনায় সরব বিরোধীরা। এর মধ্যেই কয়লাক্ষেত্রে ১০০শতাংশ সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগে সবুজ সংকেত দেয় কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দেয়। আশ্চর্যজনকভাবে সংঘ প্রভাবিত ভারতীয় মজদুর সংঘও এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ২৩থেকে ২৭সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কয়লা শিল্পে ধর্মঘট ডাকে। সিটু, এআইটিইউসি, আইএনটিইউসি সহ বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনও ২৪সেপ্টেম্বর একদিনের প্রতীকী ধর্মঘট করবে। তবে, ধর্মঘটের পথে না হেঁটে রাস্তায় নেমে আন্দোলন শুরু করল তৃণমূল।
কয়লা খাদান শ্রমিক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হরেরাম সিংয়ের নেতৃত্বে এদিন ইস্টার্ন কোলফিল্ড লিমিটেডের সদর দপ্তরে আন্দোলনে নামলেন কয়লা খাদানের তৃণমূল অনুগামী শ্রমিকরা। তাঁরা প্রথমে অফিস ঘেরাও করার পর স্মারকলিপিও দেন। এরপরই তাঁদের বিক্ষোভ মঞ্চে তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতারা হাজির হন। দোলা সেন, মলয় ঘটকের মতো রাজ্য স্তরের শীর্ষনেতারা হাজির হয়ে শ্রমিকদের আশ্বস্ত করেন, তাঁরা সঙ্গে আছেন। এফডিআই মেনে নেওয়া হবে না।
জেলা সভাপতি তথা আসানসোলের মেয়র জিতেন্দ্র তেওয়ারি বলেন, আগে প্রধানমন্ত্রী বিদেশে গেলে সবাই মোদি, মোদি করতেন। আমরা ভাবতাম, তাঁর জনপ্রিয়তার জন্য এসব হতো। এখন বুঝতে পারছি, আসলে তিনি মোদি, মোদি শোনার জন্য দেশটা বিক্রির প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসতেন। তাই এই এফডিআই। আমরা এটা মানব না।
দলের জেলা চেয়ারম্যান তথা কো-অর্ডিনেটর ভি শিবদাসন দাসু বলেন, আমাদের এমপিরা বিষয়টি নিয়ে সংসদে সোচ্চার হবেন। তৃণমূল কোনওমতেই কয়লা শিল্পে ১০০শতাংশ এফডিআই হতে দেবে না। এনিয়ে সরব হন এডিডিএর চেয়ারম্যান তাপস বন্দ্যোপাধ্যায় ও এলাকার বিধায়ক উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায়।
তবে শুধু এফডিআই নিয়ে নয়, বিভিন্ন সরকারি সংস্থা ও কারখানাগুলির বিলগ্নিকরণ, বেসরকারিকরণের প্রতিবাদে আন্দোলনের রূপরেখা ঠিক করতে সোমবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে দলের শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। বিভিন্ন ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকারের বিলগ্নিকরণ, বেসরকারিকরণ নিয়ে শ্রমিক মহলে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। রাজ্যের শাসকদল এনিয়ে কিছু আন্দোলন করলেও চূড়ান্ত মাত্রা পায়নি। বিশেষ করে এনিয়ে পশ্চিম বর্ধমান জেলায় তৃণমূল নিজেদের হারানো জমি ফিরে পাওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও দ্বন্দ্বের জেরে তা হয়ে ওঠেনি। এখন দেখার মুখ্যমন্ত্রীর দিশা পেয়ে আন্দোলনের মোড় পরিবর্তন হয় কি না।
দোলা সেন বলেন, ২৩সেপ্টেম্বর আমাদের মিটিং রয়েছে। তারপরই আন্দোলনের পরবর্তী কর্মসূচি চূড়ান্ত হবে। তবে আমরা কোনও ধর্মঘটে শামিল হচ্ছি না।