রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
মামলাকারী খইরুল ইসলাম মুর্শিদাবাদের মির্জাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য। ২০১৮ সালে তিনি বিডিও’র কাছে ওই অভিযোগ করেন। অভিযোগ অনুযায়ী, সেখানকার ২৪৪ নম্বর বুথ এলাকায় গত বছরের শেষ দিকে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা (গ্রামীণ) প্রকল্পের সমীক্ষা করার জন্য দুই ব্যক্তি আসেন। ফিরোজ শেখ ও জুয়েল বিশ্বাস নামের সেই ব্যক্তিরা প্রকল্পের সুবিধা নিতে আগ্রহীদের থেকে প্রয়োজনীয় নথি নেওয়ার পাশাপাশি তিন হাজার টাকা করে চান। ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা তাঁদের আটকে রাখেন। ধৃতরা লিখিতভাবে গ্রামবাসীদের জানান, বিডিও অফিসের ওবাইদুর রহমান নামে এক ব্যক্তি আবেদনকারীদের থেকে ওই পরিমাণ টাকা নেওয়ার জন্য তাঁদের নির্দেশ দিয়েছেন। তাঁর আইনজীবী অরিন্দম চট্টোপাধ্যায় আদালতকে জানান, অন্তত ৭০ জন গ্রামবাসী হলফনামা করে ওই কেলেঙ্কোরির তথ্য সরাসরি পাঠিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রীর অফিসে। তবে ১৭ জানুয়ারি খইরুলকে বিডিও অফিসে ডাকা হয়েছিল বিষয়টি মিটমাট করার জন্য।
সাম্প্রতিক শুনানিতে জেলাশাসক যে রিপোর্ট দাখিল করেন, সেখানে সেই ১৭ জানুয়ারির বৈঠকের কথা উল্লেখ করা হয়। সবশেষে জেলাশাসক সেখানে দাবি করেছেন, যে অভিযোগ আনা হয়েছে, তার কোনও ভিত্তি নেই। বরং, ওই দুই সমীক্ষককে দিয়ে জোর করে মুচলেকা লিখিয়ে নেওয়া হয়েছিল। সেই লেখাও পরে বিকৃত করা হয়েছে। কিন্তু, এই দাবির পরেও আদালত ওই নির্দেশ দিয়েছে।