রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক তাপস রায় বলেন, ডেঙ্গু পরীক্ষা এবার অনেক বেশি হয়েছে। সেই কারণে বেশি রোগীকে আমরা চিহ্নিত করতে পেরেছি। রাজ্যের টিম এসেছিল। আমাদের কাজে ওঁরা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। আমরা আরও কী কী করতে পারি তা দেখছি। সব জায়গাতেই এবার আক্রান্তের সংখ্যা বেশি।
জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে খবর, গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা যা ছিল, এবার তার চার গুণ বেশি মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। এমনকী গত বছর যেখানে সব মিলিয়ে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন ১,১৫১ জন। সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত সেই সংখ্যাটা ছিল ৫০০। এবার সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা ২১৪৮ হয়েছে। জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের পরিসংখ্যান বলছে, আক্রান্তের দিক থেকে নদীয়ার স্থান রাজ্যের মধ্যে দ্বিতীয়। রাজ্যে সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে উত্তর ২৪ পরগনায়। ডেঙ্গুতে এবছর সরকারি হিসেবে এই জেলায় মৃত্যু হয়েছে তিন জনের।
এদিন ওই টিমের তরফে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীদের বেড টিকিট খতিয়ে দেখা হয়। বেশ কয়েকজন বিএমওএইচকে তাঁদের কাজ নিয়েও জিজ্ঞাসা করা হয়। সচেতনতার প্রচারে কী কী করা হয়েছে তাও জানতে চাওয়া হয়। জানা গিয়েছে, এই মুহূর্তে হাঁসখালি, হরিণঘাটা, চাকদা, নবদ্বীপ, কৃষ্ণনগর-১ ব্লকে ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা অনেকটাই বেশি। স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে প্রতিটি ব্লকের উপরে বাড়তি নজর রাখা হয়েছে। কোথাও কেউ জ্বরে আক্রান্ত হলে কিংবা ডেঙ্গুর অন্যান্য লক্ষণগুলি দেখা দিলেই তাঁর রক্ত পরীক্ষা করানো হচ্ছে। এবার প্রথম থেকেই ডেঙ্গুপ্রবণ এলাকাগুলিতে বিশেষ নজরদারির পাশাপাশি বেশ কিছু পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। সচেতনতা বৃদ্ধি, নজরদারি চালানো হয়েছে। চিকিৎসা সংক্রান্ত বিষয়ে সাধারণ মানুষকেও যুক্ত করা হয়েছে। কিন্তু তারপরেও ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে। জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের এক কর্তা বলেন, খাতায় কলমে কাজের সঙ্গে বাস্তবের কাজের কিছু ফারাক তো থাকছেই। সেটা অস্বীকার করা যায় না। সবাই সমানভাবে সচেতনও নয়।