গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রুমি স্কুলে যেতে গিয়ে পাশের গ্রামের এক টোটো চালকের প্রেমে পড়ে। এরপর থেকে সে বাড়িতে বিয়ের জন্য চাপ দিতে শুরু করে। পরিবারের লোকজন তাকে বোঝাননোর চেষ্টা করেন, এই বয়সে বিয়ে করলে অনেক শারীরিক সমস্যা আসবে। তাঁরা রুমিকে আরও বলেন, ১৮ বছর বয়স না হলে বিয়ে দেওয়া যায় না। নাবালিকার বিয়ে দেওয়া আইনবিরুদ্ধ। যদি এখন বিয়ে দেওয়া হয় তাহলে পুলিস আমাদের গ্রেপ্তার করবে। তার থেকে মাধ্যমিক পাশ করে সাবালিকা হলে রুমির বিয়ে দেওয়া হবে। এখন বিয়ের কথা চিন্তা না করে তাকে লেখাপড়া করতে বলেন বাড়ির লোকজন। কিন্তু, তাতেও রুমিকে বিয়ের জেদ থেকে সরানো যায়নি।
গত রবিবার নিজের পড়ার ঘরে সে গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। তাকে বাঁচাতে গিয়ে মা বিজলি হাজরাও অগ্নিদগ্ধ হন। স্থানীয় বাসিন্দারা তাদের উদ্ধার করে প্রথমে তেহট্ট মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে রুমির অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করেন চিকিৎসক। সেখানেই শুক্রবার রুমি মারা যায়।
রুমির মা বিজলিদেবী বলেন, স্কুলে যাওয়ার পথে পাশের গ্রামের প্রায় ৪০ বছর বয়সের এক টোটো চালকের সঙ্গে মেয়ের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। আমরা বিষয়টি জানার পর বিষয়টি মেনে নিতে পারিনি। মেয়ে ওই ছেলেকেই বিয়ে করবে এবং তা এখনই বলে জেদ ধরে। মেয়েকে অনেক বোঝানোর চেষ্টা করি। কিন্তু, ও আমাদের কোনও কথাই শুনছিল না। মেয়েকে নিয়ে থানায় যাব বলে চিন্তাভাবনা করেছিলাম। কারণ যে কোনও প্রকারের নাবালিকা মেয়ের বিয়েটা বন্ধ করাই ছিল আমাদের লক্ষ্য। সেই অভিমানে রবিবার সকাল ৮টার সময় তার পড়ার ঘরে মধ্যে ঢুকে গায়ে আগুন লাগিয়ে নেয়। ওর চিৎকার শুনে ঘরে গিয়ে দেখি, মেয়ে দাউ দাউ করে জ্বলছে। সেই আগুন নেভাতে গিয়ে আমিও অগ্নিদগ্ধ হই। পরিবারের লোকজন হাসপাতালে ভর্তি করে। শুক্রবার ভোরে রুমি মারা গিয়েছে।
অতিরিক্ত পুলিস সুপার(গ্রামীণ) কৃশানু রায় বলেন, অভিযোগ পেলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।