বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দিল্লির মসনদে বসার পরই দেশজুড়ে স্বচ্ছতা অভিযানে জোর দেন। কখনও নিজে ঝাড়ু হাতে বেরিয়ে পড়েছেন, কখনও আবার শৌচালয় নির্মাণে জোর দিয়েছেন। দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় বসার পর তো অস্বচ্ছতার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে দেন। জাতীরজনক মহাত্মা গান্ধীর ১৫০ তম জন্মদিবসকে পাখির চোখ করে তার আগে দেশজুড়ে স্বচ্ছতা নিয়ে সচেতনতা শুরু করে কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রক ও তাদের অধীনে থাকা সংস্থাগুলি। সেই অভিযানের অঙ্গ হিসেবে পরিবেশ দূষণকারী সিঙ্গেল ইউজড প্লাস্টিক নিষিদ্ধ হয়েছে রেলে। কিন্তু, দেশবাসীর একাংশ শুধু সচেতনতার মাধ্যমে সজাগ হয় না তা সবারই জানা। তাই বিভিন্ন এলাকায় যেখানে থুতু ফেলতে নিষেধ করা থাকে সেখানেই পানের পিকের দাগ বেশি দেখা যায়। একইভাবে নো স্মোকিং জোনে ধূমপানের ছবি ধরা পড়ে। তাই এবার যাত্রীদের অভ্যাস বদলাতে সচেতনার পাশাপাশি কড়া দাওয়াই আনছে রেল। যেভাবে বিনা টিকিটে ভ্রমণ করলে জমিমানা আদায় করে রেল, তেমনই নিষিদ্ধ প্লাস্টিক নিয়ে ট্রেনে যাত্রা করলেও নেওয়া হবে জরিমানা। তবে তার আগে এনিয়ে প্লাস্টিক ব্যবহার নিষিদ্ধ করা নিয়ে ব্যাপক সচেতনামূলক প্রচার চালানো হবে।
এদিন আসানসোলে এসে একাধিক কর্মূসচিতে অংশ নেন জিএম। সকালে ডিআরএম অফিসের নতুন কনফারেন্স রুমে এমপি অন্নপূর্ণা দেবী, গিরিধারী যাদব, পিএনসিং, চন্দ্রপ্রকাশ চৌধুরী এবং একাধিক এমপির প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রবোধবাবু। পরে আসানসোল স্টেশনে গিয়ে স্বচ্ছতা সংক্রান্ত একটি নাটক দেখেন। পরে একটি বৃক্ষরোপণের অনুষ্ঠানেও অংশ নেন।
জিএম বলেন, আমরা ১১ লক্ষ বৃক্ষরোপণ করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছি। এদিন একটি প্লাস্টিক বোতল ক্রাশিং মেশিনেরও সূচনা করেন জিএম। উপস্থিত ছিলেন ডিআরএম সুমিত সরকার, এডিআরএম আরকে বর্নওয়াল, সিনিয়র ডিভিশনাল সিকিউরিটি কমিশনার সিআর মিশ্র প্রমুখ।