বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
শুভেন্দুবাবু বৃহস্পতিবার দুপুরে পুরুলিয়া শহরের জগন্নাথ কিশোর কলেজে বিবেকানন্দের একটি পূর্ণাবয়ব মূর্তির উন্মোচন করেন। বিকেলে কর্মিসভায় শুভেন্দুবাবু ছাড়া রাজ্যের মন্ত্রী তথা তৃণমূলের পুরুলিয়া জেলা সভাপতি শান্তিরাম মাহাত, সভাধিপতি সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায়, অনগ্রসর শ্রেণী কল্যাণ দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী সন্ধ্যারানি টুডু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
শুভেন্দুবাবু বলেন, ঝাড়গ্রামে মাত্র ১১হাজার ভোটে তৃণমূল হেরেছে। বান্দোয়ানে আপনারা আর একটু ঠেলে দিলে একজন আদিবাসী নেত্রী এমপি হতে পারতেন। ঝাড়গ্রামের মানুষ এখন বলছে, যাঁকে জেতালাম তিনি কিছুই করতে পারছেন না। সংসদেও মুখ খোলেন না। আর বীরবাহা সোরেন টুডু হেরে গিয়েও মানুষের সঙ্গে রয়েছেন। জঙ্গলমহলে এলেই বারবার বলি, অতীতটাকে দেখুন। কী অবস্থা ছিল, আর এখন কেমন শান্তি রয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে এলাকার উন্নয়ন করেছেন, তার প্রতিদান হয়তো তাঁকে আমরা দিতে পারিনি। তবে আমরা অকৃতজ্ঞ নই। কারণ, পুরুলিয়া জেলায় পরপর নির্বাচনে জেলার অধিকাংশ মানুষ তৃণমূলের সঙ্গেই ছিলেন। তাই গত লোকসভা ভোটের ফলাফলকে ঘটনা নয়, দুর্ঘটনা বলা উচিত।
শুভেন্দুবাবু বলেন, ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচির মাধ্যমে তৃণমূলের বিধায়ক, যুব নেতা ছাত্র নেতা, পঞ্চায়েতের জনপ্রতিনিধিরা বিভিন্ন গ্রামে রাত্রিযাপন করছেন। মানুষের অভাব অভিযোগ শুনছেন। পঞ্চায়েত ব্যবস্থায় কোথায় সমস্যা হয়েছে তা জানার চেষ্টা করছেন। তিনি কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ২টাকা কেজির চাল, কন্যাশ্রী, আবাস যোজনা সহ বিভিন্ন বিষয়ে আপনারা সাধারণ মানুষকে বোঝাতে পারেননি। শুধু কেন্দ্রীয় সরকারের টাকায় এই চাল দিলে রাজ্যে মাত্র ৩ কোটি মানুষ তা পেতেন। কিন্তু, আমাদের রাজ্য সরকার ৮কোটিরও বেশি মানুষকে এই সুবিধা দেয়। আবাস যোজনায় ৭৫শতাংশ টাকা দিদি দিচ্ছেন। তাই বাংলা আবাস যোজনা লেখা হয়। তিনি বলেন, পঞ্চায়েতের কোন কাজটা আগে দরকার সেটা গ্রাম সংসদের মাধ্যমে মানুষের কাছ থেকে জেনে নিন। সিপিএমের অনেক বড়বড় আদিবাসী নেতা ছিলেন। কিন্তু, তাঁরা জাহের থানের উন্নয়ন করেননি। আর বিজেপি তো বাংলার সংস্কৃতিই জানে না।
শুভেন্দুবাবু বলেন, সম্প্রতি ১৪৫টি সাঁওতালি অধ্যুষিত এলাকায় ২৯০জন প্রাথমিক শিক্ষক নেবে রাজ্য সরকার। আপনারা একটু সাহায্য করলেই জঙ্গলমহলকে ঘুরিয়ে দেব। নয়াগ্রাম থেকে অযোধ্যা পর্যন্ত ঘাসফুল ফুটবে। পুরুলিয়া জেকে কলেজের পরিকাঠামো উন্নয়নে ২৫লক্ষ টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন শুভেন্দুবাবু।
এদিকে, বৃহস্পতিবার বাঁকুড়া পুরসভার রাজগ্রামে পুরসভার তৈরি দু’টি পার্কের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন শুভেন্দু অধিকারী। দুর্গাপুজোর পর ঝান্ডা বাদ দিয়ে শহরের মানুষের সমস্যা শোনার ও পরামর্শ নেওয়ার জন্য নাগরিক কনভেনশনের ব্যবস্থা করবেন বলে তিনি জানান। শুভেন্দুবাবু বলেন, বাঁকুড়া পুরসভা বিভাগীয় কাজ রূপায়ণে রাজ্যের প্রথম সারিতে রয়েছে। ভালো কাজ করছে। তবু পুজোর পর আমি কনভেনশনের মাধ্যমে পুরসভা এলাকায় আপনাদের যে সমস্ত সমস্যা রয়েছে সেগুলি শুনব। পরবর্তী সময়ে এই শহরকে আরও সুন্দর করে সাজিয়ে তুলতে আপনাদের পরামর্শ জরুরি।
শুভেন্দুবাবু আরও বলেন, এখানে বাসস্ট্যান্ড তৈরির জন্য আমরা আগেই কিছু টাকা দিয়েছি। প্রয়োজন হলে আরও দেব। তাছাড়া দ্বারকেশ্বর বা গন্ধেশ্বরী নদীর পাড়ের সৌন্দর্যায়ন বা ঘাটের প্রয়োজন হলে প্রস্তাব দিলে তা করার চেষ্টা করব।