কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
দিলীপবাবু বলেন, ভিন দেশের সংখ্যালঘুরা অত্যাচারিত হলে তাঁরা ভারতকে বাপেরবাড়ি মনে করে যে কোনও সময় চলে আসতে পারে। মোদি সরকার তাঁদের আশ্রয় দেবে। তার জন্য খুব শীঘ্রই সংসদে সিটিজেনশিপ বিল আনা হবে। কিন্তু, ভোটের জন্য বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশকারী ও মায়ানমার থেকে রোহিঙ্গাদের এনে জায়গা দেওয়া হচ্ছে। তাদের দেশছাড়া করা হবে। একজনকেও রেওয়াত করা হবে না। তার জন্য এনআরসি চালু করা হবে।
তিনি তৃণমুল নেতাদের উদ্দেশ্যে হুমকির সুরে বলেন, দিদিমণির দলের ফুটো, কড়ি, ইঞ্চি মাপের নেতারা যাঁরা আগে একটি বিড়ি দু’বার খেতেন, তাঁরা এখন এসি ঘরে বাস করছেন। বাড়িতে কুকুর পুষছেন। কাটমানির টাকায় বাড়ি গাড়ি করেছেন। তাঁদের সুখে থাকতে দেব না। এদিন বিকালে সোনামুখীতে সাংস্কৃতিক মঞ্চে সাংগঠনিক সভা এবং পাত্রসায়রের কাকরডাঙায় জনসভা হয়। উপস্থিত ছিলেন বিষ্ণুপুরের সংসদ সদস্য সৌমিত্র খাঁ, বিষ্ণুপুরের সাংগঠনিক জেলা সভাপতি স্বপন ঘোষ, বিজেপি নেত্রী সুজাতা খাঁ প্রমুখ।
দিলীপবাবু বলেন, কেন্দ্র সরকার ভারতের অন্যান্য রাজ্যে সার্বিক উন্নয়নের জন্য মাথা পিছু বছরে ৬হাজার টাকা খরচ করেন। কিন্তু, কাশ্মীরে জন পিছু বছরে ১৪হাজার টাকা খরচ করা হয়। তা সত্বেও কাশ্মীরের লোকেরা গরিব। তার কারণ উন্নয়ন খাতে বরাদ্দ টাকা কাশ্মীরের জনগণের কাছে পৌঁছায় না। স্থানীয় কিছু নেতার পকেটে ঢুকে যায়। তা বন্ধ করার জন্য ৩৭০ধারা বিলোপ করা হয়েছে। অন্যান্য সব উন্নত দেশে জাতীয় নাগরিকপঞ্জি রয়েছে। আমাদের দেশে তা থাকবে না কেন? মানুষের নাগরিকত্ব নিয়ে কোনও প্রশ্ন থাকা উচিত নয়। তাই এরাজ্যে এনআরসি চালু করা হবেই। কংগ্রেস ও তৃণমূল এর আগে নোটবন্দি, সার্জিক্যাল স্ট্রাইক, জিএসটি নিয়ে অনেক চেঁচামেচি করেছে। এখন এনআরসি চালু করা হবে বলতেই আবারও তা শুরু হয়েছে। কিন্তু, মোদিজির নেতৃত্বাধীন সরকার তার সিদ্ধান্তে অনড় থাকবে। আর আমাদের দিদিমণি শুধু চেয়ে চেয়ে দেখবেন।
দিলীপবাবু বলেন, এখন আবার দিদিমণি রাজীব কুমারের জন্য কলকাতা-দিল্লি করছেন। সিবিআই রাজীব কুমারকে কলার ধরে জেলে ঢোকাবে, সেটাও উনি দেখবেন। কিন্তু, কিছু করতে পারবেন না। কেউ ওঁর কথা শুনছেন না। তাই কবে হয়তো আমার কাছে একই বায়না ধরতে আসবেন।