কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
পুলিস জানিয়েছে, মৃত টোটো চালকের নাম সাইদুল শেখ(৫০)। বাড়ি ময়ূরেশ্বর থানার কুনুটিয়া গ্রাম। এদিন কলেশ্বর থেকে আমিনা বিবি নামে মহিলা তাঁর দুই শিশুকন্যা মুসকান ও সাকিনাকে নিয়ে টোটো চেপে ছোটতুড়ি গ্রামের দিকে যাচ্ছিলেন। সেই সময় বহরমপুরগামী লরিটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে টোটোটিকে ধাক্কা মারে। তাতেই জখম হন টোটোচালক সহ আরোহীরা। খবর পেয়ে পুলিস এসে জখমদের উদ্ধার করে সাঁইথিয়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে পাঠায়। সেখান থেকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় টোটো চালককে সিউড়ি সদর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। এদিকে ঘটনার প্রতিবাদে স্থানীয় বাসিন্দারা পথ অবরোধ করেন। কলেশ্বরের বাসিন্দা মহম্মদ সাকিরুল শেখ বলেন, যখন ঘটনা ঘটে তখন এই রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলাম। জখম মহিলা আমাদের গ্রামের হওয়ায় দাঁড়িয়ে পড়ি। সেই মুহূর্তে পুলিস কোনও কথা না বলে, এমনকী জখমদের বাড়িতে খবর না দিয়েই তাঁদের গাড়িতে চাপিয়ে হাসপাতালে নিয়ে যায়। কোনও সমাধান না করেই কেন পুলিস এমনটা করল এরই প্রতিবাদে আমাদের অবরোধ। প্রায় ঘণ্টাখানেক পর পুলিস এসে আন্দোলনকারীদের বুঝিয়ে শান্ত করলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। পুলিস জানিয়েছে, জখমদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পৌঁছে দেওয়াটাই আগে। কারণ, সেই সময় তাঁদের চিকিৎসার প্রয়োজন। আইনি পদক্ষেপ পরেও নেওয়া যাবে। পুলিস লরিটিকে আটক করেছে। তবে, চালক ও খালাসি পলাতক।
এদিকে এই অবরোধের জেরে বাড়ি ফিরতি মানুষজন ভোগান্তির মুখে পড়েন। বহরমপুরগামী বাসে আটকে পড়া যাত্রী সিরাজুল ইসলাম বলেন, বহরমপুর থেকে বাস পরিবর্তন করে আমাকে বাড়ি ফিরতে হয়। এই বাসটি দেরিতে চললে বাড়ি ফিরতে সমস্যায় পড়তে হবে।